মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনার ৫টি আসনেই জমে উঠেছে নির্বাচন

Reading Time: 2 minutes

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেত্রকোনা জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী- ৫ জন, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী- ৫ জন, স্বতন্ত্র প্রার্থী- ১১ জন ও অন্যান্য দল সহ মোট- ৩৬ জন প্রার্থী মনোনয়র পত্র জম দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৫টি আসনে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচনে লড়বেন – ১১ জন প্রার্থী। মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জেলা রির্টানিং ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে, জেলার ৫টি আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত ৫ জন ও নৌকার মনোনয়ন না পাওয়া স্বতন্ত্র- ১১ জন প্রার্থীসহ অন্যান্য দলের মোট-৩৬ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়রপত্র জমা দিয়েছেন। নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার শাহেদ পারভেজ জানান, নেত্রকোনা-১ (দূর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসন থেকে মোট ৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রহী, নৌকার মনোনয়ন না পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা, জাতীয় পার্টি থেকে গোলাম রব্বানী, জাকের পার্টি থেকে ছমির উদ্দিন, বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক জোট থেকে আহমদ শফী ও আফতাব উদ্দিন। নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসন থেকে মোট- ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপ্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, নৌকার মনোনয়ন না পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক উপমন্ত্রী, আরিফ খান জয়, জাতীয় পার্টি থেকে মোছাঃ রহিমা আক্তার (আসমা সুলতানা), জাকের পার্টি থেকে মানিক চন্দ্র সরকার, পিপুলস পার্টি থেকে মোঃ আমজাদ হোসেন ঠাকুর, ইসলামি ঐক্যজোট থেকে মোঃ ইলিয়াস, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন থেকে এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার, বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে আজহারুল ইসলাম খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত চন্দ্র সরকার। নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসন থেকে মোট- ১০ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী অসীম কুমার উকিল, নৌকার মনোনয়ন না পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু জাতীয় পার্টি থেকে জসীম উদ্দিন ভুঞা, জাকের পার্টি থেকে মোঃ সুরুজ আলী, পিপুলস পার্টি থেকে আসাদুজ্জামান খান, ইসলামি ঐক্যজোট থেকে মোঃ এহ্তেশাম সারওয়ার, তৃণমূল বিএনপি থেকে মিজানুর রহমান খান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে রিগ্যান আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর কাদের কৌরাইশী ও মোঃ আব্দুল মতিন। নেত্রকোণা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরী) আসন থেকে মোট- ৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান, নৌকার মনোনয়ন না পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শফি আহমদ, জাতীয় পার্টি থেকে মোঃ লিয়াকত আলী খান এডভোকেট, জাসদ থেকে মোঃ মুশফিকুর রহমান ও তৃণমূল বিএনপি থেকে মোঃ আল মামুন। নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আহমদ হোসেন, নৌকার মনোনয়ন না পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বতন্ত্র মোঃ আনোয়ার হোসেন, জাতীয় পার্টি থেকে ওয়াহিদুজ্জামান আজাদ, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওয়াহহাব হামিদি, মোঃ মিজবাহুজ্জামান ও মো. মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকির। নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে এবার প্রার্থী বদল করেছে আওয়ামীলীগ। বাকি ৩টি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যরা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। নেত্রকোনার ৫টি আসনের সবগুলোতেই নৌকার মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, নৌকার মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়া অনেক জনপ্রিয় নেতা এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া জাকের পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ও জাতীয় পার্টির নেতারাও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নেত্রকোণা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রত্যেক আসনেই দুইয়ের অধিক প্রার্থী হওয়ায় এবার প্রতিদ্বন্দ্বিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার বিষয়টিই সামনে আসছে। নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com