বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
রিপন কান্তি গুণ,নেত্রকোনা:
সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৩ সুষ্ঠু, সুন্দর পরিবেশে ও নির্বিঘ্নে উৎযাপনের লক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় পূজামন্ডপ কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) শনিবার বিকালে নেত্রকোনা মডেল থানার আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।নেত্রকোনা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার খন্দকার আল মামুনের সঞ্চালনায় ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহ শিবলী সাদিক।প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তার স্বার্থে করণীয় ও বর্জনীয় নির্দেশনা উল্লেখ করে বলেন, নেত্রকোনা জেলাধীন দশ উপজেলায় এবার ৫৬৪ টি পূজামন্ডপ হতে যাচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ২৭টি পূজামন্ডপ বেশি। তাই পূজামন্ডপে আসা পূজারীদের নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা পুলিশ সর্বদা সজাগ রয়েছে। তাই সকল প্রতিটি পূজামন্ডপে সিসি ক্যামেরা ও ভিডিও রেকর্ডিং এর ব্যবস্থা রাখা, জরুরি প্রয়োজনে ‘হ্যালো এসপি’ জাতীয় জরুরী সেবা- ৯৯৯ ও বিট পুলিশ কর্মকর্তার সহযোগিতা নেয়া, আযান ও নামাজের সময় মসজিদ পার্শ্ববর্তী পূজামন্ডপ গুলোতে পূজা চলাকালে এবং বিসর্জনকালে শব্দযন্ত্রের ব্যবহার সীমিত রাখা ও উচ্চস্বরে শব্দযন্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, রাতে প্রতিমা নির্মান স্থান ও পূজামন্ডপে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা, পূজা চলাকালে হাউজি, জুয়া, আতশবাজি ও পটকা ফুটানো ইত্যাদি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা, মাদকের ব্যবহার, ইভটিজিং ও ছিনতাই প্রতিরোধে সর্বদা সচেতন থাকা।এছাড়াও মন্ডপে পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর/চার্জার লাইট এর ব্যবস্থা রাখা, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ফোন নাম্বার দৃশ্যমান জায়গায় ঝুলিয়ে রাখা, পূজা চলাকালে মন্ডপের অভ্যন্তরে অশ্লীল নৃত্য/ ডিজে গান পরিবেশন না করা, প্রতিটি পূজা কমিটিতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে কমিটি গঠন, আতশবাজি নিষিদ্ধ, সাউন্ড বক্স, মাইক ব্যবহারে নির্ধারিত সময় সূচি মানা, মন্ডপের আশেপাশে অপরিচিত বা সন্দেহভাজন কোন লোক ঘুরাফেরা করলে সাথে সাথে পুলিশকে জানানো, আরতি প্রতিযোগীতা না করা, আইন শৃংখলা রক্ষার নিমিত্তে নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথের ব্যবস্থা গ্রহন।তিনি আরও বলেন, দশমী (মুর্তি বিসর্জন)এর দিন রাত ৮টার মধ্যে মন্ডপ নির্ধারিত স্থানে বিসর্জন কার্যক্রম সম্পন্ন করা, অস্থায়ী প্যান্ডেলে স্থাপিত প্রতিমাসমূহে বিসর্জনের দিনেই বিসর্জন দিতে হবে, বিসর্জনের স্থানে সচেতনতা মূলক প্রচারণার জন্য আয়োজক কমিটি কর্তৃক মাইক ও ভিডিও রেকর্ডিং এর ব্যবস্থা রাখা, প্রতিমা বিসর্জন স্থানে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা রাখা, বিসর্জনকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে বলে নির্দেশ প্রদান করেন। এ ব্যপারে পূজা উদযাপন কমিটির সকল স্তরের নেতৃবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।অন্যান্যদের মধ্যে, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জ্ঞানেশ চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র পন্ডিত, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডভোকেট বিকাশ আচার্য চৌধুরী, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সভাপতি নির্মল কুমার দাস, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পুলক চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক রতন চন্দ্র বিশ্বশর্মা, পৌরসভার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ঝন্টু সাহা, সাধারন সম্পাদক লিটন কুমার ঠাকুরসহ সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।