বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :
নেত্রকোনায় স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চোরাই মালসহ দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা কলমাকান্দার চারুলিয়া (মাইজপাড়া) গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ ইমন মিয়া (২২)। পরে ইমন মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চুরি হওয়া স্বর্ণালংকারসহ অপর সহযোগী আসামি নেত্রকোনা সদর উপজেলার মেদনী বেগুনবাড়ী গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে মোঃ স্বপন মিয়া (৩৪) কে গ্রেফতার করা হয়। মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা পৌর শহরের সাতপাই প্রফেসর পাড়ায় গোমেদ আলীর বাসার নিচ তলার ভাড়া থাকেন মাহফুজা বিনতে ওয়ালিদ। প্রতিদিনের ন্যায় তিনি গত ১০ নভেম্বর রাতের খাবার খেয়ে ভাড়াটিয়া বাসাটি তালাবদ্ধ করে পরিবার নিয়ে বাসার দু’তলায় তার ভাইয়ের বাসায় ঘুমাতে যান। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার বড় ভাই মোঃ আবু সাঈদ ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাদের বাসার নীচ তলা ও ২য় তলার দরজা খোলা এবং বসত ঘরের জিনিস পত্র এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে। পরে তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন তাদের ওয়ারড্রফে রাখা ০২ টি স্বর্ণের বালা (ওজন অনুমান ১ ভরি ০৮), ১৪ আনা ওজনের ১ টি স্বর্ণের গলার হার, ০৭ আনা ওজনের ১ জোড়া ঝুমকা, ০৩ আনা ওজনের ১ টি স্বর্ণের আংটি, এবং একটি স্মার্টফোন চোর চুরি করে নিয়ে গেছে। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি মামলা (নং-১৯, তারিখ- ১৩/১১/২০২৩ ইং, ধারা- ৪৫৭/৩৮০ পিসি) রুজু করেন। মামলা হওয়ার পর চোরাই মালামাল উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতারের লক্ষ্যে এসআই নুরুল ইসলাম নেতৃত্বে একটি চৌকস অভিযানিক দল নিয়ে মাঠে নামেন। গত ১৩ নভেম্বর মোঃ ইমন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ইমন চুরির ঘটনা স্বীকার করে। আটককৃত ইমনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোঃ স্বপন মিয়া কে তার বসতবাড়ি হতে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার বসত ঘর তল্লাশী করে (০২ টি স্বর্ণের বালা, ০১ টি স্বর্ণের গলার হার, ০১ জোড়া ঝুমকা, ০১ টি স্বর্ণের আংটি) উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
নেত্রকোনা জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত স্বল্প সময়ে শেষ করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করা হবে।