শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
আব্দুল বাসেদ, নোয়াখালী:
প্রকল্পে সরকার জমি ও স্থাপনার মালিককে আলাদাভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা ছিল কিন্তু নোয়াখালী সায়েন্স এন্ড কমার্স কলেজের ক্ষতিপূরণের ২৯ লাখ টাকা টাকা জমির মালিকপক্ষ তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২০১৭ সালে চৌমুহনী-সোনাপুর পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক চারলেন করার প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেক। শুরুতেই জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে টাকা বরাদ্দ দেয় সড়ক বিভাগ। প্রশাসন জমির মালিক ও স্থাপনা নির্মাণকারীদের ক্ষতিপূরণের টাকা ছাড় দেয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, আহসানুল কবির রাশেদ, আশরাফুল মামুন ও হাসান মাহমুদ রিপনের কাছ থেকে ৪০ শতাংশ জমি ইজারা নেন তারা। নিজ খরচে ওই জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করে করেন অধ্যক্ষ ড. আফতাব উদ্দিন। সম্প্রতি সড়ক সম্প্রসারণে কলেজের বেশকিছু অংশ ভাঙ্গা পড়ে। এতে ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় চরম সংকটে পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
নোয়াখালী সাইন্স এন্ড কমার্স কলেজের এক শিক্ষক বলেন, ‘যে স্থাপনা ব্যয়টা আমাদের প্রাপ্য সেটা যদি আমরা না পেয়ে থাকি তাহলে আমরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবো।’
কলেজের অধ্যক্ষ ড. আফতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আইন মোতাবেক ভূমির মালিকপক্ষ ভূমির ক্ষতিপূরণ পাবে এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ স্থাপনার ক্ষতিপূরণ পাবে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করবো, অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের টাকা যেন কলেজ কর্তৃপক্ষ বরাবর পরিশোধ করা হয়।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান জানান, প্রকৃত জমির মালিক দাবি করেছে সে বিল্ডিংটা করেছে। অভিযোগকারীরা যদি আবেদন করে তাহলে অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুনানি করে সমাধান করার সুযোগ আছে।
অবশ্য ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন আহছানুল কবির রাশেদ।