শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মজিবুল হক লাজুক, পাবনা:
পাবনা-১, ৬৮ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসনে নির্বাচনে ব্যপক অনিয়ম জাল ভোট প্রদান ও ভোটে কারচুপি হয়েছে এর প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনারকে । গত ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীক পেয়ে শামসুল হক টুকু নির্বাচন। নৌকা বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদন্দ্বীতা করেন সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। যেখানে ছিলো স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপরে দমন নিপিরন ব্যাপকভাবে তাকে লাঞ্চিত করা সহ বিভিন্ন ক্যাম্পিং ও উঠান বৈঠকে। তাকে নির্বাচনে বাধা দান করা ছিলো নৌকার সমর্থকদের প্রধান কাজ। এত কিছুর পরেও ৭২ হাজার ভোট তিনি পেয়েছেন এবং নৌকার প্রতীক তিনবারের এমপি ও ডেপুটি স্পীকার ৯০ হাজার ভোট কেরি করেন। মাত্র ১৮ হাজার ভোট বেশি পেয়ে তাকে বিজয়ী করা হয়। এ বিজয় জনগণ ব্যাপকভাবে প্রত্যাখান করেছে। এরই প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বিভিন্ন অনিয়মের কথা উল্লেখ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে লিখিত বক্তব্যে বলেন আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া, এজেন্টের উপরে হামলা করা, ভোট বেলট পেপারে দুই দিকেই সাইন করা, আগের থেকেই অনেক বেলোট পেপারে টিপ সই দেওয়া সহ বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করেন রিটানিং অফিসার। এ ব্যাপারে আমি অনেকবার ফোন করেছি সকল নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে। তারা শুধু বলেন দেখতিছি দেখতিছি পরবর্তীতে এ ব্যাপারে আর কোন পদক্ষেপ নিতে দেখিনাই। আমার নেতাকর্মীরা গৌরিগ্রামে ভোট দিয়ে ট্রাকের বিজয় নিশ্চিত ভেবে স্লোগান দিচ্ছিলো। এ সময় প্রতিপক্ষের নৌকার সমর্থকরা আমার উপর হামলা চালায় ভাংচুর করে ও ভোট কেন্দ্র থেকে আমাকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। আমি বাংলাদেশ প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে এবং ফোন করে জানিয়েছি। তাই সর্বশেষ আপনারা সাংবাদিক আপনাদের আশ্রয় নিলাম। আপনারা দয়া করে এই সংবাদটি প্রচার করবেন ইনশাল্লাহ। আমি এই ৬৮, পাবনা-১ আসনে পুর্ণ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। অতএব আমার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনার উচ্চ পদস্ত তদন্ত কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত করলে ঘটনার সত্যতা বেড়িয়ে আসবে।