admin
- ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ / ১১৬ Time View
Reading Time: < 1 minute
এম আর রাসেল হোসাইন, ঈশ্বরদী (পাবনা) ।
মাত্র বিশ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে তিন বছরের চেষ্টায় মৎস্যসহ নানা প্রকার সবজি ও সবজি ফলের গাছ লাগিয়ে প্রায় কোটি টাকা আয় করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। পাবনার ঈশ্বরদী দরগাপাড়া গ্রামের রায়হান প্রামানিক বর্তমানে তিনি মেসার্স হৃদি মৎস্য খামারের মালিক এবং তার খামারে কাজ করে স্বচ্ছলতা ফিরেছে শতাধিক বেকারের।
ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের দরগাপাড়া গ্রামের মৃত ইবাদত আলী প্রামানিকের ছেলে ২০০২ সালে বড় স্বপ্ন নিয়ে সৌদি আরবে পারি জমান। পরে অনেকটা হতাশ হয়েই সাড়ে সতেরো বছর পর প্রায় খালি পকেটে ফিরে আসেন দেশে । যে কয়টা টাকা নিয়ে দেশে ফিরেছেন কিছুদিনের মধ্যে সংসার চালাতে তাও খরচ হয়ে যায়। তখন হতাশা রায়হান ভাবতে থাকেন কি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা যায়।
এক পর্যায়ে প্রায় এক বছর পর কোন উপায়ান্ত না পেয়ে সিদ্ধান্ত নেন মৎস্য চাষ ও কৃষি আবাদের। গ্রামের নিকটস্থ বাগহাছলায় এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে মাছ চাষের পুকুর তৈরী করে মাছ চাষ শুরু করেন। প্রথম বছরেই আশার আলো দেখতে পান মাছ চাষ করে। একই সাথে মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে পেঁপে, আম, কলা, টমেটো, লাউ, ধনিয়া, মরিচসহ সতেরো জাতের আবাদ করেন। মাছ ও ফসলেও যৌথ চাষে লাভের পরিমান বাড়তে থাকে। এরপর তিনি আর পেছনে না তাকিয়ে নানাভাবে চেষ্টা করে পর্যায়ক্রমে চল্লিশ বিঘা জমিতে চৌদ্দটি পুকুরে রুই কাতলা,পাংগাসসহ নানা জাতের মাছের চাষ এবং সবজি চাষ শুরু করেন। এতেই ভাগ্য বদল হয় তার। বর্তমানে তিনি মেসার্স হৃদি মৎস্য খামারের মালিক। মাছের পুকুর এবং সবজিসহ নানা জাতের ফলনশীল গাছের যত্ন নিতে প্রায় এক-দেড়’শ দিন মজুর প্রতিনিয়ত কাজ করে রায়হানের কৃষি প্রজেক্টে। এতে এলাকায় বেকরত্ব দূর হয়ে অস্বচ্ছলতা ফিরেছে। রায়হান জানান, মৎস্য ও কৃষি বিভাগের মাধ্যমে সরকারী সহায়তা পেলে বড় পরিসরে ভালোকিছু করতে পারবেন তিনি। পাশাপাশি পরামর্শ দেন বেকার না থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষি ও মৎস্য খাতে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করার।