শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর টাকা গায়েবের পর ভুয়া বিল ভাউচারে লাখ টাকা গায়েব ভাতঘরা-দয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের

Reading Time: 2 minutes

এম এ লিতু ,ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলায় ভুয়া বিল ভাউচার করে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ভাতঘরা দয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফরোজাহান শেলীর বিরুদ্ধে। কালিগঞ্জ উপজেলার ভাতঘরা গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয়টির নামে প্রধান শিক্ষক কালিগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ডে ্য়ঁড়ঃ;শিপন কম্পিউর্টায়ঁড়ঃ; নামের একটি দোকান থেকে ৩ জুলাই ২০২৩ তারিখ এইচপি কোরআই ফাইভ ব্রান্ডের একটি ল্যাপটপ(যার মূল্য ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৩ শত টাকা) এবং একই ব্রান্ডের একটি প্রিন্টার (যার
মূল্য ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৭ শত টাকা) কিনেছেন। অনুসন্ধান জানা যায়, শিপন কম্পিউটারের দোকানের ১৬৫৯ নং চালানে উল্লেখিত মোট ৭৫ হাজার টাকার ল্যাপটপ ও প্রিন্টার দোকানের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম শিপন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের নিকট বিক্রি করেননি । একইভাবে বাজারের মুক্তার লাইব্রেরী থেকে ৬ শত টাকা মূল্যের প্রতিটি বই মোট ৫০ টি বই ৩০ হাজার টাকা কেনা দেখানো হয়েছে ।অনুসন্ধানে মুক্তার লাইাব্রেরীর স্বত্বাধিকারী মুক্তার হোসেন ভাতঘরা দয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট ০৬৮ নং চালানে কোন বই বিক্রি করেননি বলে জানান। অর্থাৎ শিপন কম্পিউটার এবং মুক্তার লাইব্রেরী থেকে কোন মালামাল ক্রয় না করে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে পিবিজিএসআই স্কিমের অনুদানের অর্থ ব্যায় দেখিয়ে উপজেলা অফিসে এই ভুয়া বিল ভাউচার জমা দিয়েছেন।ভুয়া ক্র‍য় কমিটি দেখিয়ে স্কুলের তিনজন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে তাদের স্বাক্ষরের পাশাপাশি ভুয়া বিল ভাউচার গুলোতে সভাপতি একে জিল্লুর রহমান আজাদ ও প্রধান শিক্ষক নিজেই স্বাক্ষর করে তা জমা দিয়েছেন। এমন চতুরতার অবলম্বন করেছেন প্রধান শিক্ষক, যাতে করে বিষয়টি ধরা না পড়ে। উল্লেখ্য, ভাতঘরা দয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাতের সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ হয়।এরপর প্রধান শিক্ষক শেলী ও তার অনুসারীরা দুই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর পরিবারকে হুমকি প্রদান করে আসছেন।এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে ভাতঘরা দয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফরোজাহান শেলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মাল না কিনে ভাউচার প্রস্তুত করে জমা দেওয়ার ব্যাপারটি স্বীকার করে বলেন, আগেই ভাউচার জমা দেওয়ার নিয়ম । এ
কারণে এমনটি করা হয়েছে। এই টাকা আত্মসাতের প্রশ্নই আসে না।কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারক আহমেদ বলেন, পিবিজিএসআই স্কিমের অনুদানের টাকা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নামে তাদের হিসাবে ঢুকেছে। পরিপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যয় করার কথাও বলা হয়েছে তাদেরকে। কোনো খাতে ব্যয়ের ভাউচার আগে থেকে অফিসে দেওয়ার জন্য কাউকে বলা হয়নি। সকলকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব
বিল ভাউচার জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল,সবাই তা করেছে। এই অনুদানের কোন অর্থ যদি নিয়মের বাইরে ব্যয় করা হয় তাহলে তার সব দায়-দায়িত্ব ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও পরিচালনা পরিষদ বহন করবে বলেও তিনি জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com