শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর:
একেকটি দিন যাচ্ছে, সেই সাথে বদলে যাচ্ছে মানুষের নিত্যদিনের কর্মকান্ডও। ক্রমান্বয়ে মানুষ হয়ে পড়ছে প্রযুক্তি নির্ভর। সকল প্রকার কার্যক্রমের পাশাপাশি লেখাপড়াও হয়ে পড়ছে প্রযুক্তিভিত্তিক। সাধারণ মানুষের ধারণা,শিক্ষা বিস্তারের একমাত্র দায়বদ্ধতা বই-পুস্তকের আর মোবাইল নাকি শুধু বিনোদন ছাড়া কিছুই না। কিন্তু সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছে মোবাইলভিত্তিক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ‘প্রিয় শিক্ষালয়’। জবস্ প্রিপারেশন এন্ড লার্নিং এ অ্যাপটি যাত্রা শুরুর মাত্র দশ মাসের মাথায় ৫০হাজার ইউজার ডাউনলোডের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। অ্যাপটির মাধ্যমে অনেক বেকার শিক্ষার্থী দেখেছেন আশার আলো। ইতোমধ্যে এই অ্যাপের কল্যাণে পেয়েছেন চাকুরীর সুযোগও। গেল বছরের ২১শে ফেব্রæয়ারীতে আনুষ্ঠানিকভাবে গুগল প্লে-স্টোরে উমুক্ত হওয়ার পর ইতোমধ্যে ৫০ হাজারের বেশি বার প্লে-স্টোর থেকে এই অ্যাপ ডাউনলোড হয়েছে।
জানা গেছে, বেকার বান্ধব সাবস্ক্রিপশন প্রাইস প্ল্যানিং, ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস, বিষয়ভিত্তিক ও পরীক্ষা ভিত্তিক মডেল টেস্ট, প্রতিদিনের পড়াশোনাকে বিভাজন করে আকর্ষনীয় কোর্স প্ল্যান, বিগত ২০ বছরে আসা বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নের আর্কাইভ “প্রশ্ন ব্যাংক”, দেশের নামকরা মেন্টরদের তত্বাবধানে করা
“লেকচার শীট”, খেলতে খেলতে চাকরির প্রস্তুতি নেয়ার ফিচার “কুইজ খেলুন”, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এলার্ট বেসইড ফিচার “জবস্ সার্কুলার”, সা¤প্রতিক বিষয়াবলীর আপডেট নিয়ে ফিচার “কারেন্ট অ্যাফিয়্যার্স” সহ চাকরি প্রার্থীদের নানা প্রয়োজনীয় ফিচার যুক্ত থাকায় অ্যান্ড্রয়েড এ অ্যাপটি এতো দ্রæত ইউজারদের সাড়া পায়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়ুয়া শিক্ষার্থী প্রিয়াংকা বলেন, এক্সাম হিস্টোরিসহ আরো কিছু ফিচার যুক্ত করা প্রয়োজন এই অ্যাপে। যদিও অ্যাপটি নতুন, তারা হয়ত সেই ফিচারটিও যুক্ত করবে বলে মনে হচ্ছে । প্রতিনিয়তই তাদের কিছু না কিছু আপডেট লক্ষ্য করছি । সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে গেলে অনেক ভাল কিছু হবে অ্যাপটি নিঃসন্দেহে বলতে পারি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স শেষ বর্ষে পড়ুয়া শিক্ষার্থী মুজাহিদ বিল্লাহ জানান, প্রিয় শিক্ষালয় অ্যাপটির কথা প্রথম জানতে পারি এক বন্ধুর মাধ্যমে। তার কথাতে গুগল প্লে- স্টোরে ‘প্রিয় শিক্ষালয়’ লিখে সার্চ দিলে অ্যাপটি চলে আসে এবং তা ডাউনলোড করে নেয়। তারপর থেকে নিয়মিত এক্সাম দিচ্ছি তাদের প্লাটফর্মে । অ্যাপটি নতুন হলেও অনেক সাজানো গোছানো এবং নিয়মিত আপডেট তথ্য পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করছেন সাবিহা দিপ্তি মিলা। কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, একদিন ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে প্রিয় শিক্ষালয়ের একটি বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। অনেকটা কৌতুহল নিয়েই ডাউনলোড করি অ্যাপটি । চমৎকার লেগেছে অ্যাপটি, ইতোমধ্যে অফারের আওতায় নাম মাত্র টাকায় নিয়ে নিয়েছি তাদের চার বছরের সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজ প্ল্যানও। ভাবছি অফলাইনে কোচিং এর পাশাপাশি প্রতিদিনই এক্সাম দিয়ে নিজেকে যাচাই করে নিবো এর মাধ্যমে। শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা হারিয়াকোনা। এই এলাকার বাসিন্দা শিক্ষার্থী ঝুমুর। এই অ্যাপের মাধ্যমেই হয়েছে তার চাকুরী। তিনি জানান, পড়াশোনা শেষ করে বসে শুধু চাকুরীর পরীক্ষা দিয়েছি। কিন্তু চাকুরী হচ্ছিল না। পরে আমার এক বান্ধবীর কাছ থেকে প্রিয় শিক্ষালয় অ্যাপের নাম শুনি এবং ডাউনলোড করে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করি। আলহামদুল্লিাহ অবশেষে আমি সফল হয়েছি। আমার একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী হয়েছে। আমি বলবো, এই অ্যাপের কারণেই আমার চাকুরীর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং চাকুরী হয়েছে। ধন্যবাদ জানাই কর্তৃপক্ষকে এমন একটি অ্যাপ আমাদের জন্য তৈরী করার জন্য। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী প্রভাষক মহিউদ্দিন সোহেল বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই চেয়েছি পড়াশোনা শেষ করে একটি ছেলে অথবা মেয়ে এমনেতেই কিছুটা অস্থির সময় পার করেন তার উপর যখন তাদের হাজার হাজার টাকা খরচ করে রাজধানীতে গিয়ে অথবা বিভাগীয় শহরে গিয়ে কোচিং করতে হয় তা ওই শিক্ষার্থীর এবং তাদের অভিভাবকের জন্য কস্টকর হয়ে যায়। তাই আমরা বেকারবান্ধব শিক্ষা উদ্যোগ হিসেবে স্বল্পমূল্যে মানসম্মত কন্টেন্টে সেরা চাকরির প্রস্তুতি নিতে এই প্লাটফর্মটি রেডি করার চেস্টা করছি। এটি এতো দ্রæত চাকরি প্রার্থীরা গ্রহন করবে ,ভালবাসায় রাখবে তা অব্যশয় ভাবিনি। আমরা খুব শ্রীঘ্রই আরো আকর্ষনীয় ফিচার যুক্ত করবো ইনশাল্লাহ।
প্রতিষ্ঠানটির কো-ফাউন্ডার তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা সাদুজ্জামান সাদী বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানই নিয়ে কাজ করি তবে এই প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করতে পেরে আমার ভাললাগা কাজ করে। আমরা চাকরি প্রার্থীদের উপকার হয় তা সব সময় খেয়াল রাখবো। বেকারবান্ধব হবে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি। আরো প্রয়োজনীয় ফিচার আনতে কাজ করবে আমাদের টিম । বিশ্বাস করি অনেক ভাল কিছু হবে আমাদের এ অ্যাপটি।