বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
আলামিন (২৩) নামের এক যুবকের সাথে গত ১বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো রত্না (২২) নামের এক যুবতীর। কিন্তু সেই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি তার শাশুড়ী তহমিনা বেগম। বিয়ের পর থেকেই শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন ছিলো নিত্যদিনের ঘটনা। শেষে পর্যন্ত নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সোমবার (২১ আগস্ট) নিজ শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে যুবতী। এমনই অভিযোগ মৃত রত্নার মা মুঞ্জু বেগমের। মৃত সান্নাতুন নেসা রত্না, সে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার কয়েরডারা এলাকার মোঃ হিরা শেখের মেয়ে। অপর দিকে যুবতীর স্বামী আলামিন (২৩) একই থানার সপুরা, ছয়ঘাটি পুকুর এলাকার মোঃ রবিউলের ছেলে।মৃত রত্না’র মা মুঞ্জু বেগম জানায়, সোমবার দিনগত রাত ১২টায় আমার মেয়ে রতনা আমাকে মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে বলে, মা আমার কোন ক্ষতি হলে আমার শাশুড়ি’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবা, বলেই ফোনে কেটে দেয়। এরপর রাত ৩টার সময় জামাই আলামিন মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে বলে, রত্না গলায় ফাঁস দিয়েছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। জামাইয়ের দেয়া সংবাদে আমি রামেক হাসপাতালের ৮নং ওয়ার্ড গিয়ে দেখি আমার মেয়ের চিকিৎসা চলছে। তবে সে কথা বলতে পারছেনা। পরের দিন মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রত্না’র মৃত্যু হয়। এ ব্যপারে জানতে চাইলে বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, গৃহবধূর আত্মহত্যার বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি (ইউডি) অপমৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রামেক মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে গৃহবধূর লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওসি আরও বলেন, যেহেতু লাশ পুলিশ উদ্ধার করেনি। তাই কোন মন্তব্য করতে পারছিনা। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাত পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।