admin
- ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩ / ৮৮ Time View
Reading Time: 2 minutes
হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ গাইবান্ধা :
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সকল দুর্নীতি বন্ধ ও মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ শ্রেণি হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে বিতরণের সরকারি পাঠ্যবই বই বিক্রি মামলার প্রকৃত আসামি সনাক্ত করণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার উপজেলার বঙ্গবন্ধু মুর্যাল চত্বরে সুন্দরগঞ্জ সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে তিন ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সুন্দরগঞ্জবাসী। মানববন্ধন চলাকালিন সময়ে বক্তব্য রাখেন, সুন্দরগঞ্জ সচেতন নাগরিক সমাজের আহবায়ক প্রভাষক মাসুদুল হক প্রামানিক, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক দহবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির মুকুল, উপজেলা স্কাউট সম্পাদক শাহজাহান মিঞা, উপজেলা আওয়ামীলীগ দপ্তর সম্পাদক এস এম মঞ্জুরুল ইসলাম বকুল, পৌর আওয়ামীলগ সভাপতি আহসানুল করিম চান্দ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন বুলু, উপজেলা উদীচীর সভাপতি এটিএম মাসুদ-উল ইসলাম চঞ্চল, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি আতাউর রহমান মাষ্টার, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব মাসুদ, সাবেক প্রধান শিক্ষক মুসলিম আলী, নদী বাঁচাও দেশ বাচাঁও কমিটির সভাপতি মুন্সি আমিনুল ইসলাম সাজু, উপজেলা কমিউনিষ্ট পাটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম পিপলু, উপজেলা জাসদ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, দহবন্দ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আশেক আলী জিকু, বাবুল আহমেদ, দেবাশীষ কুমার সাহা, সেলিম মিয়া, রুহুল আমিন, রতন মিয়া, সুমন মিয়া, ফুয়াদ হাসান, নাহিদ হাসান প্রমূখ। বক্তাগণ বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সকল দুর্নীতি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। সরকারি পাঠ্যবই বিক্রি মামলার মূলহোতাকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীর্ঘ ৯ বছর ধরে এই উপজেলায় চাকরি করে আসছে। সে কারণে তিনি শিক্ষা অফিসটিকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে। একজন অফিস সহায়ক অফিসারের নির্দেশনা ছাড়া বই বিক্রি করতে পারে না। সঠিক তদন্ত পূর্বক প্রকৃত আসামিদের আইনের আওতায় নেয়ার জন্য মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের নিকট জোরদাবি জানিয়েছেন বক্তাগণ। ১৬ জানুয়ারী সোমবার রাতে সিরাজগঞ্জ জেলাধীন বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশের নিকট হতে পিকআপ ভ্যানসহ জব্দকৃত বই ,চালক শ্যামল মিয়া ও হেলপার রাসেল মিয়াকে সুন্দরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ১৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার তিনজন আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ১৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাতেই গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হেসেন মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন। ১৫ জানুয়ারী রোববার বই বিতরণের গোডাউন সুন্দরগঞ্জ ডি ডাব্লিউ সরকারি ডিগ্রী কলেজের হলরুম হতে ২০২৩ শিক্ষা বর্ষের সাড়ে এগারো হাজার বই হলুদ কালারের একটি পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকা নেয়ার পথে সিরাজগঞ্জ জেলাধীন বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশ সেটি জব্দ করে চালক শ্যামল মিয়া ও হেলপার রাসেল মিয়াকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেক বইগুলো সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক মাজেদের নিকট হতে সংগ্রহ করেছে বলে জানায়। এরপর সুন্দরগঞ্জ থানাকে বিষয়টি অবহিত করালে ১৬ জানুয়ারী রোববার রাতে মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে মাজেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। রাতেই বইয়ের গোডাউন তল্লাশি করে দেখা যায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণের পর অবশিষ্ট ষষ্ঠ শ্রেণি হতে নবম শ্রেণির ১১ হাজার ৫০০ নতুন বই গোডাউনে নেই চুরি হয়েছে। মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের এসআই মামুনুর রশিদ জানান, গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামিকে দুদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। মামলার বাদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ হোসেন মন্ডল জানান, ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছেন। তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।