রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মোঃ হেলাল উদ্দিন সরকার, ধুনট বগুড়া :
বগুড়ার ধুনটে পলিথিনে সলিউশন গাম বা সিনথেটিক রাবার গাম ভরে নেশায় আকৃষ্ট হচ্ছে শিশু কিশোর। এই গাম বা আঠা সাধারনত চামড়া, প্লাস্টিক বা রাবার জাতীয় বস্তু জোড়া লাগানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে চর্মকার (মুচি) ও যানবাহনের চাকা মেরামতকারীরা এ গাম ব্যবহার করে থাকে। সম্প্রতি সরজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায় উপজেলার বেশ কিছু এলাকার শিশু কিশোররা নেশা হিসেবে এ গাম ব্যবহার করছে। যা স্থানীয় ড্যান্ডি নেশা নামে পরিটিত। আসক্তরা সহজলভ্য এ গাম পলিথিনে নিয়ে মুখ দিয়ে বাতাশ ঢুকিয়ে বাষ্পীয় কায়দায় পুনরায় সেই বাতাশ মুখ ও নাক দিয়ে দম টেনে নেশাগ্রস্থ হয়। যা চোখে মুখে ঘুম ঘুম ভাবের অগ্নীশর্মা চোখে মাদকতা হিসেবে ধরা দেয়। ফলে চুপচাপ একাকিত্বে বসে থাকে নেশাগ্রস্থ শিশু কিশোর। গত ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ধুনট সরকারি ডিগ্রি কলেজের পাশে হিলিপ্যাডের নির্মল সবুজ ঘাসের উপর বসে ১০/১২ বছর বয়োসি ৩ কিশোরকে গাম নেশা করতে দেখা যায়। গত ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ বৃহস্পতিবার বিকেলে ভান্ডারবাড়ী বণ্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের উপর ২ জন কিশোর শিক্ষার্থীকে গাম নেশা করতে দেখা যায়। এক প্রশ্নের জবাবে তন্দ্রাবেশে এক শিক্ষার্থী জবাব দেয় আমরা বড় হয়েছি, এখন স্কুলে পড়ি। এমন উত্তর দিয়েই তারা দ্রুত কেটে পড়ে। উপজেলা জুড়ে প্রায় এলাকাতেই পলিথিন গামে আটকে রয়েছে অনেকের ভবিষ্যত। সহজলভ্য, দামে সস্তা ও সেবনে খুব একটা সন্দেহ হয়না বলে ড্যান্ডি নামের এ নেশায় আকৃষ্টের হার ভয়াবহ ভাবে বাড়তে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় বিশিষ্ট জনেরা। উপজেলায় এমন নেশা ও ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়ার আগেই পরিবারের অভিভাবকদের সচেতন হওয়া খুবই জরুরী। নেশার এমন চিত্রে বর্ণনা শুনে নিজ বিবেকের কাছেই প্রশ্ন জাগে কোন পথে যাচ্ছে শিশু কিশোর? দোষ কি শুধুই তাদের? পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ এদের কি কোন ভূমিকা নেই? এভাবেই নেশার অন্ধকার জগতে পলিথিন বাষ্পে আটকে যাচ্ছে আগামি প্রযন্মের উজ্বল ভবিষ্যত!