মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনা প্রেসক্লাবের অনিয়ম তদন্তে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন মহানগরীতে স্বর্ণের দোকানে চুরির অভিযোগে জনতার হাতে আটক নারীকে পুলিশে সোপর্দ পাঁচ শতাধিক নবীন শিক্ষার্থীকে বরণ করলো হাবিপ্রবি ছাত্রশিবির মানুষকে যারা কষ্ট দেয় তাদেরকে পরিহার করুন : এ.কে.এম. আমিনুল হক যুবদল নেতা বাঁধনের আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহী মহানগরীতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পিংকু-সহ গ্রেফতার ৮ জুড়ীতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে বিজিবির হাতে আটক ৮ পাবনার ঈশ্বরদীতে যুবলীগ কর্মী মানিক হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি গ্রেফতার গোবিন্দগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ২৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রংপুর বিএনপি ও আহবায়ক সামুর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে জোরপূর্বক ভিডিও ধারণ করে অপপ্রচারের অভিযোগ মামলার বাদির

বগুড়া ধুনটে আওয়ামীলীগ নেতার হাতে ইউএন্ও অফিসের ৩ সহকারী লাঞ্চিতের ঘটনার সুরাহা হয়নি

Reading Time: 2 minutes

মোঃ হেলাল উদ্দিন সরকার, ধুনট বগুড়া:
আওয়ামীলীগ নেতা কর্তৃক ইউএনও অফিসের তিন সহকারী লাঞ্ছিত ঘটনায় দুইদিন পেরিয়ে গেলেও কোন সুষ্ঠু সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহন না করায় জনমনে শঙ্কা বেড়েই চলছে। বগুড়ার ধুনটে আওয়ালীগ নেতার লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের তিন সহকারী। লাঞ্চনাকারী এই নেতার নাম কামরুল ইসলাম তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক। রবিবার বিকেল ৫টায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনের সরকারি বাসভবনে এ-ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত লাঞ্ছনার ঘটনায় কোনো প্রকার মিমাংসার পদক্ষেপ না নেয়ায় জনমনে আতংক বিরাজ করছে।
এবিষয়ে লাঞ্চনার শিকার ইউএনও’র অফিস সহকারী বাবুল ইসলাম বলেন, রবিবার বিকেলে আমিসহ আরেক সহকারী খোরশেদ আলম ও উপজেলা পরিষদের পিয়ন আবু বক্কার চেয়ারম্যান স্যারের বেতনের চেক সহ সরকারি দাপ্তরিক কাজের ফাইল নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনের সরকারি বাসভবনে যাই। এরপর পিয়ন বক্কার ফাইল নিয়ে দো’তলায় চেয়ারম্যানের কক্ষে পৌঁছালে তিনি কোন ফাইলে স্বাক্ষর না করে তাকে অপমান করে বের করে দেন।আমরা তখন সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে গেলে কামরুল নামে এক ব্যক্তি ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমাদের কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, গত ৩১ মার্চ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন তার সম্মানী ভাতা, উৎসব ভাতা ও সরকারি গাড়ীর জ্বালানীর খরচের টাকার জন্য ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর করতে বলেন। কিন্তু মাস শেষ না হলে ভাতা দেওয়ার নিয়ম না থাকায় সেইদিন স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি।
পরদিন সরকারি ছুটি থাকায় ৩ এপ্রিল ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর করে দাপ্তরিক অন্যান্য ফাইলসহ এক পিয়ন ও দুই অফিস সহকারী দিয়ে তার বাসভবনে পাঠানো হয়। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান সরকারি কোন ফাইলে স্বাক্ষর না করে তাদেরকে বের করে দেন। এরপর চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা কামরুল নামে এক ব্যক্তি আমার অফিস সহকারীদের ঘরের দরজা বন্ধ করে লাঞ্চিত করেন। এবিষয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তবে এব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা কামরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদেরকে কোন লাঞ্চিত করা হয়নি। শুধুমাত্র কথাকাটাকাটি হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনের বক্তব্য নিতে তার মোবাইলে ফোন করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com