শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মো মোরসালিন,ফুলবাড়ী:
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এর জারিকৃত প্রজ্ঞাপনকে তোয়াক্কা না করে। ফুলবাড়ী আবাসিক প্রকৌশলী দপ্তর (নেসকো)’র কর্তৃক গ্রাহক পর্যায়ে মনগড়া বিদ্যুৎ বিল পরিবেশনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২০২০ সালের ২৭ শে ফেব্রয়ারী বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক জারি প্রজ্ঞপন অনুযায়ী জানা যায়, প্রজ্ঞাপনের ২য় পৃষ্টায় ৫(ক)তে বলা আছে কোন গ্রাহকের অনুমোদিত লোড হতে তার মিটারে রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ চাহিদা বেশি হলে অনুমোদিত লোডের জন্য দ্বিগুন হারে ডিমান্ড চার্জ প্রযোজ্য হবে। এই ধারা অনুযায়ী গত আগষ্ট মাসের বিদ্যুৎ বিলে ডিমান্ড চার্জ বৃদ্ধি করেছে আবাসিক প্রকৌশলী দপ্তর (নেসকো) । একই প্রজ্ঞাপনের ৫ এর (খ)তে বলা আছে কোন গ্রাহকের সর্বোচ্চ চাহিদা ক্রমাগত ভাবে ৩ মাস অনুমোদিত লোডের শতকরা ১১০ পার্সেন্ট অতিক্রম করলে অতিরিক্ত লোড অনুমোদিত করে নেওয়ার জন্য গ্রহককে নোটিশ দিতে হবে। কিন্তু ফুলবাড়ী আবাসিক প্রকৌশলী দপ্তর (নেসকো)’র বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এর জারিকৃত প্রজ্ঞাপনকে তোয়াক্কা না করে তাদের মনগড়া নিয়ম তৈরী করে তাদের গ্রাহক (ফুলবাড়ীবাসী)কে অতিরিক্ত ডিমান্ড চার্জ নামে ভৌতিক বিল প্রদান করেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক জারি প্রজ্ঞাপনে ৫ এর (ঘ) বলা আছে কোন গ্রাহকের বিদ্বমান অনুমোদিত/চুক্তিবদ্ব লোড বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা/কোম্পানী কর্তৃক সয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তন করা যাবে না। অথচ ফুলবাড়ী আবাসিক প্রকৌশলী দপ্তর (নেসকো) সরকারের সিন্ধান্তের বাহিরে গ্রাহককে কোন প্রকার নোটিশ না করে ১ কিলো ওয়াট থেকে সর্বোচ্চ ৮ কিলো ওয়াট পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে।এমন অসামঞ্জস্য বিদ্যুৎ বিল পেয়ে রিতিমত হতবাক হয়ে পড়ে ফুলবাড়ীর বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা। বিষয়টি নিয়ে ফুলবাড়ীর সব জায়গায় আলোচনা ও সমালচনা সৃষ্টি হলেও বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা ফুলবাড়ী আবাসিক প্রকৌশলী দপ্তর (নেসকো)’র বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারছে না । অসহায় হয়ে অনেকেই যেমন বিল পেয়েছেন, তেমন বিল পরিশোধ করছেন।এমন অসামঞ্জস্য বিদ্যুৎ বিল পেয়ে মোঃ আজগার আলী বলেন, আমাকে কোন প্রাকার নোটিশ করা হয় নাই। আর আমি ডিমান্ড চার্জ সম্মন্ধে বেশি কিছু জানি না। হঠাৎ বিদ্যুৎ বিলে দেখছি ডিমান্ড চার্জ তিন গুন বৃদ্ধি করা আছে। বিদ্যুৎ অফিস কোন সিন্ধান্ত নিলে প্রথমে আমাকে জানাবে তারপর যা করার করবে, কিন্তু আমাকে তো কিছুই জানাই নি। এমন কথা বলেন কাঁটাবাড়ীর কবির সরকার,মোঃ হাফিজুল ইসলাম,বাসুদেবপুরের মুরসালিন,থানাপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানসহ অনেকেই।এ বিষয়ে ফুলবাড়ী আবাসিক প্রকৌশলী দপ্তর কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোঃ উজ্জ্বল হোসেনে কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন এখানে আমার তেমন কিছুই করার নাই। এখানে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন নিয়ম মেনে গ্রাহক পর্যায়ে ডিমান্ড চার্জ বৃদ্ধি করা হয়েছে। শুধু ফুলবাড়ী নয় সারাদেশেই একই অবস্থা। ডিমান্ড চার্জ বৃদ্ধির পূর্বে নোটিশ করা উচিৎ ছিলো বলে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বিদ্যুতের ইউনিটের দাম যখন বৃদ্ধি পায় সেই সময় কোন গ্রাহককে নোটিশ করে জানানো হয় না। ডিমান্ড চার্জের বিষয়ে একই অবস্থা। এ বিষয়েও কাউকে জানানোর প্রয়োজন নেই।