শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০২ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
শেখ মো: ইব্রাহীম, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কৃষি জমিতে আমনের বীজ রোপন ও পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। মৌসুমের শুরুর দিকে পানির অভাবে কৃষকেরা চারা রোপন করতে পারছিলেন না বলে অনেক কৃষকরা জানিয়েছেন। এ অবস্থায় বেশ কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে আমনের ক্ষেতে পানি জমেছে। বিশেষ করে উঁচু জমিতে পানি জমায় কৃষকদের মনে স্বস্তি এসেছে। পানি নিয়ে কৃষকেরা কিছুদিন দুশ্চিন্তায় থাকলেও এখন পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় সে চিন্তা অনেকটা কেটে গেছে। সরাইল উপজেলার সদর,সূর্যকান্দি,বিশুতারা,রসুলপুর.চাকসার, ,কালীকচ্ছ,শাহবাজপুর ও নোয়াগাঁও, চুন্টা, বিশুতারা এলাকায় কৃষকরা আমন রোপন শেষ করে আমনের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। দীর্ঘদিন পানির অভাব থাকলেও বর্ষার পানিতে তারা নতুন করে আমনে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামের কৃষক মো: শাহ আলম জানান, প্রত্যেক বছরের মত এ বছর তিনি ৪ কানি জমিতে আমন চারা লাগিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বিপাকে পড়েন তিনি। কয়েক দিনের টানা বৃদ্ধির ফলে তার উঁচু জমিগুলোতেও পানি লাগায় তিনি এখন আমনের ফলন নিয়ে অনেক খুশি কৃষক আলী আকবর বলেন, তিনি এ বছর ৩ কানি জমিতে আমন ধান আবাদ করেছেন। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তার আমনের ক্ষেতেও পর্যাপ্ত পানি জমেছে। চারা গাছ এখন বেশ সতেজ হয়ে উঠছে। সবুজের মাঠ এখন দেখতে ভাল লাগে পরিচর্যা করছে সময়মতো। দেখা যায়,কয়েকদিন ধরে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত হলেও খুব বেশি প্রতিক‚লে না গেলে এবার রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।
সরাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রায়হান পারভেজ রনি জানান, এবার সরাইলে ৬ হাজার ৬০০’শ ৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৭ হাজার ৬০০’শ ২৯ মেট্রিক টন। তিনি বলেন, প্রত্যেক বছর আমন মৌসুমে কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রদান করা হয়। এ বছরও দেয়া হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।