শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ শরিফুল ইসলাম, রাজিবপুর কুড়িগ্রাম :
কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারি কালাইয়ের চর বর্ডার হাটে পণ্য আনা নেওয়ায় ভোগান্তিতে হাটের ক্রেতা বিক্রেতারা। বর্ডার হাট খোলার পর থেকে আয় রোজগার ও পরিবারের দুশ্চিন্তার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বর্ডার হাটের সংশ্লিষ্ট ক্রেতা, ব্যবসায়ীরা ও শ্রমিকেরা । বালিয়ামারী-কালাইর চর সীমান্ত হাট হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী অন্যতম সীমান্ত হাট যা ২০১১ সালে রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলায় বালিয়ামারি সীমান্ত ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কালাইচর সীমান্তের জিরো পয়েন্টে চালু হয়। হাটের উদ্বোধন করেন তৎকালীন বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান এবং আনন্দ শর্মা।বর্ডার হাট হওয়ার পর থেকে এলাকার তরুণ বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে । বর্ডার হাটটি হওয়ার পর এলাকার মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কেউ কেউ এই মালামাল পরিবহন করেও ভালো উপার্জন করছে । এলাকার ব্যবসায়ী সহ যারা মালামাল গুলো বহন করে তাদের পরিবারের উপার্জনের মাধ্যমই হচ্ছে বর্ডার হাট । হাটটি চালুর পর থেকে সীমান্তে চোরাচালান অনেকটাই কমে গেছে। তবে হতাশার বিষয় হচ্ছে বর্ডার হাটে যাতয়াতের জরাজীর্ণ অবস্থায় ব্যবস্থা নেওয়ার মতো কেউ নেই। বর্ডার হাটের কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, বর্ডার হাটে যেতে হলে পারাপারে সর্বনিম্ন ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত নৌকা ভাড়া দিতে হয়।মাটি ও কাদার উপর দিয়ে হেটে নৌকায় উঠে নদী পার হয়ে বর্ডার হাটে প্রবেশ করতে হয়ু। এই হাটের ক্রেতা বিক্রেতার সংখ্যা প্রায় ৬০০ জন। এছাড়াও লেবার, নৌকার মাঝি, পন্য আনা নেয়ার জন্য অটোভ্যান, ছোট ছোট ট্রাক । সব মিলে প্রতি হাটে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত করে। সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বালিয়ামারী ব্যাপারি পাড়া তিন রাস্তার মোড়ে থেকে প্রায় আধা-কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অযেগ্য, সংশ্লিষ্টরা খুবই কষ্ট করে রাস্তাটি অতিক্রম করে বর্ডার হাটে যাচ্ছে। হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের দাবী বালিয়ামারী ব্যাপারি পাড়া মোড় হইতে জিঞ্জিরাম নদী পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করে জিঞ্জিরামর উপর একটি টেকসই ব্রীজ নির্মান হলে এ হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের কষ্ট একেবারেই কমে যাবে। এ বিষয়ে বালিয়ামারী ক্যাম্পের সুবেদার মহিউদ্দিন বলেন, বর্ডার হাটে যাওয়া আশা খুবই কষ্টকর রাস্তাটি দ্রুত পাকা করা সহ একটি ব্রীজের দাবী জানাচ্ছি। রাজিবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস মোঃ মিরন বলেন, জরাজীর্ণ রাস্তায় বর্ডার হাটে যাওয়াতে সবার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। বর্ডার হাটটি হওয়ায় এলাকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষ গুলো সুবিধা পাচ্ছে। তবে দুঃখের বিষয় হলো বালিয়ামারী ব্যাপারিপাড়া মোড় হইতে বর্ডার হাট পর্যন্ত রাস্তাটিতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাটের ক্রেতা-বিক্রেতা সহ বর্ডার হাটের সাথে সংশ্লিষ্ট অসংখ্য জনসাধারণ ও কর্মকর্তা কর্মচারী। জনসাধারণের পক্ষে রাস্তাটি পাকা করার পাশাপশি টেকসই একটি ব্রীজের জোর দাবী জানাচ্ছি।