শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৩ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা,ময়মনসিংহঃ
গত ২৯ আগষ্ট রাত অনুমান ৮ টার সময় ভিকটিম লাল মিয়া খান (৫০),পিতা – মৃত আবুল হোসেন,গাম – নলদিঘী, থানা – তারাকান্দা, জেলা – ময়মনসিংহ বাড়ী থেকে বের হয়ে নলদিঘী গ্রামের মোড়ে জনৈক কাশেম মিয়ার চায়ের দোকানে যায়। ভিকটিম বাড়ীতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন ভিকটিমকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে যার কোথায়ও খোঁজে না পেয়ে অবশেষে ৩০ আগষ্ট তারাকান্দা থানার সাধারণ ডায়েরী করে। ডায়েরী নং-১৪৩৬। সাধারণ ডায়েরীর প্রেক্ষিতে অফিসার ইনচার্জ তারাকান্দা থানা আবুল খায়ের এস আই (নিঃ)মো.রায়হানুর রহমান কে তদন্তভার অর্পন করেন। এস আই (নিঃ) মো. রায়হানুর রহমান ১ সেপ্টেম্বর,অপরাধে জড়িত থাকার সন্দেহে ফৌঃ কাঃ বিঃ ৫৪ ধারায় ১। সোহেল মিয়া (৩৫), পিতা-শাহ জাহান, ২। শাহীন মিয়া (৪৫), পিতা-আঃ জব্বার খান, ৩। আব্দুল বারেক (৪০), পিতা-আলী আকবর সর্বসাং- নলদিঘী, থানা-তারাকান্দা, জেলা-ময়মনসিংহ ত্রিপল আসামীকে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে রাখে।এস আই (নিঃ) মো রায়হানুর রহমান উক্ত সাধারণ ডায়েরী বিষয়ে তদন্ত কাজ শুরু করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে তদন্তকাজ চলমান রাখেন। ৩১ আগষ্ট অনুমান অনুমান ১২ টা ৫ মিনিটে় অজ্ঞাতনামা আসামী ফোন করে ৩০,০০,০০০/= (ত্রিশ লক্ষ) মুক্তিপণ দাবী করে। ১ সেপ্টেম্বর সকাল অনুমান ৬ টায় তারাকান্দা থানাধীন নলদিঘী মধ্যপাড়া গ্রামের জনৈক মজিবুর রহমান এর বসত বাড়ীর অনুমান ২০০ গজ দক্ষিণ দিকে তাহার মালিকানাধীন ফিসারীর পুকুরে ভিকটিমের লাশ পাওয়া যায়। উক্ত ঘটনার সংবাদ পাইয়া সহকারী পুলিশ সুপার ফুলপুর সার্কেল ময়মনসিংহ এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ তারাকান্দা এর দিক নির্দেশনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা সহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের লাশ পুকুরের পানির নিচ থেকে উত্তোলন করে ভিকটিমের সুরতহাল প্রস্তুত সহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের ছেলে রাসেল মিয়া থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে তারাকান্দা থানার মামলা নং-০২ ধারা নং৩৬৮/৩৮৫/৩০২/২০১/৩৪ রুজু হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী সোহেল মিয়া জানায় যে, ঘটনার ৫ থেকে ৬ দিন পূর্বে আসামী সোহেল,শাহীন ও বারেক শাহীনের ঘরে বসে পরিকল্পনা করে ভিকটিম লাল মিয়াকে হত্যা করে লাশ গুম করবে এবং মোবাইলে টাকা চাইবে। উক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ খুঁজতে থাকে। গত ২৯ আগস্ট রাত অনুমান ১০ টার সময় ভিকটিম লাল মিয়া কাশেমের দোকানে চা খেয়ে পশ্চিম দিকে যেতে থাকে। আসামী সোহেল মিয়া ও আব্দুল বারেক দুইজন মিলে ভিকটিম কে অনুসরন করে পিছনে পিছনে যায়। কিছু দূর যাওয়ার পর আসামী সোহেল মিয়া পুকুরে মাছ দেখার কথা বলে ভিকটিম লাল মিয়াকে ঘটনাস্থল বর্নিত সোহেলের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। তখন কৌশলে সোহেল মিয়া পুকুরে খাবার দিতে থাকে এবং শাহীন মিয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। অনুমান ১০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে শাহীন মিয়া আসে এবং সোহেল মিয়া ও আব্দুল বারেক ভিকটিম কে ধরে রাখে শাহীন মিয়া প্রথমে কাচি দিয়া ভিকটিমের গলায় ফেস দেয় এবং পেটের দুই পাশে চাকু দিয়া আঘাত করে। ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত হইলে সোহেল মিয়ার ফিসারীর পুকুরে ফেলে দেয়। শাহীন মিয়া এবং আব্দুল বারেক চলে যায়। আসামী সোহেল মিয়া ভিকটিমের লাশ বস্তায় ভরে এবং অন্য একটি বস্তায় বালি মাটি ভরিয়া লাশের বস্তার সহিত বেঁধে ভিকটিমের লাশ তাহার ফিসারীর পুকুরের পাশে জনৈক মজিবর রহমান এর পুকুরে ফিসারীর পুকুরে ফেলে দিয়ে লাশ গুম করে। আসামীরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানায় অপহরণ করে হত্যা করে লাশ গুম করার ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।