শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
এস.এম অলিউল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন এর বিরুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ল্যান্স নায়েক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং৩৭৯৮ এর ভূঁয়া সন্তান সেজে আসল পরিচয় গোপন রেখে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার (০৯.১১) তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবীনগর সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জাকারিয়া পারভেজকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। গত সোমবার(০৭/১১)উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক এর বরাবরে এক লিখিত এ অভিযোগ দাখিল করেন নারী উদ্ধোক্তা ছাবিনা ইয়াসমিন পুতুল । অভিযোগে দাবী করা হয় কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমীন ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে প্রতিমাসে ওই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ৩০ হাজার এবং ওই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার চাকুরীর পেনশন প্রতিমাসে ১২ হাজার টাকা করে উত্তোলন করে আসছেন। তার এসএসসি’র সার্টিফিকেটে পদত্ত প্রকৃত পিতার নাম গোপন করে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের সনদ ও প্রত্যায়ন সংগ্রহ করে অনৈতিকভাবে কর্তৃপক্ষের অনুমোদ নিয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বনে যান। এ ছাড়াও্র মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য সরকারের ঘোষিত ঋণও নিয়েছেন। তিনি প্রতারনার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার ওই এসএসসি পাসের সর্টিফিকেটে তার প্রকৃত বাবার নাম আবদুর রহিম। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলনের আবেদন পত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দাখিলের বিধান না থাকায় সুযোগটা নেন ওই কাউন্সিলর। কিন্ত তিনি যখন ১৫ সালে বয়স সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে যে আবেদন করেন সেখানে তিনি বয়স প্রমানের জন্য তার ওই এসএসসি’র সার্টিফিকেট দাখিল করেন। এ ব্যাপারে নবীনগর মুক্তিযোদ্ধ সংসদের দায়িত্বপাপ্ত কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,সুষ্ঠ তদন্তের জন্য সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাাপারে সোনালী ব্যাংক এর ব্যবস্থাপক জাকারিয়া পারভেজ বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের ফরওয়াডিং পেয়েছি। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা,যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে মুক্তিযোদ্ধা কল্যানষ্ট্রাস্ট। বিষয়টি ইউএনও মহোদয়ের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।