বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ভুয়া ফেসবুক ও টিকটক একাউন্ট তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আল-ফারাবি খান আসিফ (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে গ্রেফতারকৃত ঐ যুবককে নেত্রকোনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে শনিবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে তাকে উপজেলার মাঘান সিয়াধার ইউনিয়নের মানশ্রী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত আসিফ মানশ্রী গ্রামের মো.ফেরদৌস খানের ছেলে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বাদী হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আসিফ ও ওই ছাত্রী একই গ্রামে বসবাস করত। আসিফ প্রায়ই ওই ছাত্রীকে উত্তক্ত করত এবং কু-প্রস্তাব দিত। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ঔই মেয়ের পরিবার আসিফের পরিবারের কাছে নালিশ দিলে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে গত ১২ জুন ওই ছাত্রীকে হাত-মুখ বেঁধে মোটরসাইকেলের পেছনে বেঁধে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্জন জায়গায় তাকে ধর্ষণ করে এবং তা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে। পরে সে ধারণকৃত ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। অবশেষে গত (৫ জুলাই) বুধবার আসিফ সেই নগ্ন ভিডিও ভুয়া ফেসবুক ও টিকটক একাউন্ট তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে, ওই ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। পরে পুলিশ আসিফকে গ্রেপ্তার করে।এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যমতে জানা গেছে, অভিযুক্ত আসিফের সাথে ওই ছাত্রীর কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের সম্পর্কের জেরেই তাদের মধ্যে শারিরীক সম্পর্ক হয়। তবে ঘটনা জানার পর ছেলের পরিবার বিয়ে করাতে রাজি হলেও মেয়ের পরিবার এতে রাজি হয়নি। এরই জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে হয়তো আসিফ ওই ঘটনা ঘটাতে পারে।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার পরপরই আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়, পরে শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।