শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৮ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

ময়মনসিংহে আতশবাজি তৈরীর কারখানায় বিস্ফোরণে দুই নারীর মৃত্যু

Reading Time: 2 minutes

কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ :
আজ বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ময়মনসিংহের নান্দাইলে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে দুই নারী নিহত হয়েছেন। নিহতরা কারখানার নারী শ্রমিক ছিলেন।
আধা পাকা বাড়ির কারখানাটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে, বাড়িটির টিনের চাল ও দরজা-জানালা উড়ে গেছে। দুই জন নারীর মৃত্যু হয়েছে। লাশ দুটি ছিন্নভিন্ন হয়ে তাদের দেখে চেনার কোন উপায় নেই।
নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন আবুল হোসেনের স্ত্রী নাছিমা খাতুন (৩০) ও আবদুল গণির স্ত্রী আপিলা খাতুন (৫০)।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ ও শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। স্থানীয় ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত করার জন্য বিস্ফোরক অধিদপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

ঘরের বিভিন্ন কক্ষে হাজারো আতশবাজির খোসা পড়ে রয়েছে। শত শত মানুষ চারপাশে ভিড় করে এ দৃশ্য দেখছিলেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, বোরহান উদ্দিন একজন এই কারখানার মালিক। তিনি কয়েক বছর আগে চৌরাস্তা এলাকায় ডালের বড়া বিক্রি করতেন। আতশবাজি কারখানা স্থাপন করে তার ভাগ্য বদলে গেছে। তার কারখানায় ৫০ জন শ্রমিক কাজ করে। কারখানার স্থাপনের অনুমতি আছে কিনা গ্রামবাসী তা জানা নেই।
গ্রামবাসীরা জানান, মহিলারা যখন কাজ করছিলেন তখন বজ্রপাত হচ্ছিল। যখন বাড়িটির উপর বজ্রপাত হয়, তখন কারখানার সবগুলো রুমেই বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে এবং খুব জোরে জোরে শব্দ হতে থাকে।
ফায়ার সার্ভিস দলের সদস্যরা জানান, বজ্রপাতের ঘটনার সাথে ক্ষয়ক্ষতির নমুনার মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল মনসুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, বারুদ বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তদন্ত করার পর প্রকৃত ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com