বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
আজ শনিবার ( ৯ এপ্রিল ) দুপুরে জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদার টাকার ভাগাভাগি নিয়ে ময়মনসিংহ নগরীতে শরীফ চৌধুরী ওরফে শান্ত নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি জানান, গত বুধবার রাতে চরপাড়া মন্ডল প্লাজা চৌধুরী ক্লিনিকের গলিতে শান্তকে ছুরিকাঘাতের হত্যা করে ছাঁদাবাজের একটি চক্র। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে বৃহষ্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে বলে পিবিআই জানায়। এদের তিনজন হলো – মহানগরীর মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. শান্ত ইসলাম (২০), সদর উপজেলার পরানগগঞ্জ ভাটিপাড়া এলাকার মো. কেরামত আলীর ছেলে মো. আরিফুজ্জামান আরিফ (২২) ও তারাকান্দা উপজেলার নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. রাকিবুল হাসান তপু (২৫)। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও জানান, শরীফ চৌধুরী শান্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা সবাই তার বন্ধু। এরা প্রতিসপ্তাহে একসাথে মিলে চরপাড়ার ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে সাপ্তাহিক চাঁদা তুলতো। সম্প্রতি চাঁদা তোলা ও ভাগাভাগি নিয়ে এদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। শরীফ চৌধুরী তখন আলাদা একটি দল তৈরী করে আলাদা চাঁদার টাকা তোলা শুরু করে। অন্য বন্ধুরা তখন অনেক বুঝালেও সে পুণরায় তাদের সাথে আসতে অস্বীকৃতি জানায় ও নিজের নতুন দলকে নিয়ে চাঁদা তুলতে থাকে।
এতে তার বন্ধুরা ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রেফতারকৃত তিনজন ও অপর দুই জন সহ মোট পাঁচ জনে মিলে শরীফ চৌধুরী শান্তকে হত্যার পরিকল্পনা করে ও পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধবার রাত ১২ টার দিকে তারা ১৮ বার বুকে ও পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ও ফেলে রেখে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার নিহতের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য ঘটনাস্থলে যায় ও তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্থানীয়রা শরীফ চৌধুরী শান্তকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেফতারকৃত আরিফের দেওয়া তথ্যে পরাণগঞ্জ ভাটিপাড়া তার বাড়ির পেছন থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
শরীফ চৌধুরী শান্তদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ায়। তার বাবার ক্লিনিক ব্যবসার কারণে চরপাড়া এলাকাতেই পরিবারের সঙ্গে সে ছিল। ঘটনা পরদিন নিহতের বাবা শহিদ চৌধুরী বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা মামলা করেন। নিহতের বাবা শহিদ চৌধুরী বলেন, “আমার ছেলে ও গ্রেপ্তারকৃতরা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে তাদের দলীয় কোন পদ ছিল না। তবে, কিছুদিনের মধ্যেই আমার ছেলে যুবলীগের পদ পাওয়ার কথা ছিল। তিনি বলেন, “ওই পদের দ্বন্দ্ব নিয়েই আমার ছেলে খুন হয়েছে।” শরীফ চৌধুরী শান্ত ময়মনসিংহ মহানগরের যুবলীগের কর্মী ছিল দাবি করলেও মহানগর যুবলীগের নেতারা বলছেন, এ নামের দলের কোনো কর্মীকে চেনেন না তারা। মহানগর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান বলেন, “শরীফ চৌধুরী নামে কেউ যুবলীগের সঙ্গে জড়িত ছিল না এবং শরীফ চৌধুরী নামের কোন ছেলে তার পরিচিত নয়।