বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
কামরুল হাসান,ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
আজ ১৪ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার পহেলা বৈশাখ, বাংলা শুভ নববর্ষ । বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরও একটি বছর বাংলা বর্ষ – ১৪২৯।
পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোক উৎসব। অতীতের সকল ভুলত্রুটি, ব্যাথা বেদনা, পাওয়া না পাওয়া ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন উদ্যমে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনায় উদযাপিত হয় বাংলা শুভ নববর্ষ।
পয়লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ময়মনসিংহে বর্ণিল-বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন।
সকাল ৯টায় মহানগরীর স্টেশন রোড থেকে বিশাল বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জয়নুল আবেদিন পার্কের বৈশাখী মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। নগরবাসীর নজর কাড়তে মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের ও হারিয়ে যাওয়া সবকিছু জীবন্ত রূপে ফুটিয়ে তোলা হয়। এ সময় রাস্তার দুধারে শত শত উৎসুক নগরবাসী ভিড় জমান। মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি। নববর্ষ উপলক্ষ্যে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন ছিল।
পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালি জাতির রয়েছে এক নিজস্ব স্বকীয়তা। এতে বাঙালিরা পায় মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়। অন্য দিকে এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো বাংলা নববর্ষ।
বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক। স্বৈরাচার-অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শপথ নেওয়ার উপযুক্ত সময় পহেলা বৈশাখ। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছে।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক এনামুল হক, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।