শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
হে মহা ভাগ ব্রহ্মপুত্র, হে লৌহিত্য আমার পাপ হরণ কর ; এ মন্ত্র উচ্চারণ করে পাপ মোচনের আশায় পূণ্যার্থীরা অষ্টমী স্নান উপলক্ষে ব্রহ্মপুত্র নদের কাচারী ঘাটে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা স্নানে অংশ নিচ্ছেন। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের কাচারী ঘাটে স্নানের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পাপমোচনের আশায় অষ্টমী স্নানের উদ্দেশ্যে তীর্থযাত্রা ও স্না্ন উৎসব পালন করেন। প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবারও এ উৎসব শুরু হয়েছে। স্নানের সময় বিভিন্ন রকম ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা , হরিতকি, ডাব, আম পাতা ইত্যাদি পিতৃকুলের উদ্দেশ্যে নদের জলে তর্পণ করছেন তারা।
আজ শনিবার সকাল থেকেই বৃহত্তর ময়ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অষ্টমী স্নানের প্রত্যাশায় ময়মনসিংহ নগরের ব্রহ্মপুত্র নদের কাচারীঘাট এলাকায় দলবেঁধে আসতে শুরু করেছে। ঠাকুরের কাছ থেকে দীক্ষা নিয়ে পাপ মোচনের জন্য ধর্মীয় নিয়ম নীতি মেনে স্নান শুরু হয়েছে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও পুণ্যার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষ সেবা ক্যাম্প, স্নান শেষে পোশাক পরিবর্তনের জন্য ছাউনির ব্যবস্থা রয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। চোরাবালি ও অপ্রত্যাশিত শঙ্কার বিশেষ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
ময়মনসিংহের গ্রাফিক্স ডিজাইনার নির্মল বসাক জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে গত দুই বছর অষ্টমী স্নানের আনষ্ঠানিকতা ছিল না। এবার সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়ায় জনগণের মনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরোও বলেন, “পাপ মোচনতো বটেই, তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের এটি একটি মিলনের উৎসব, মিলন মেলা।”
এদিকে অষ্টমী স্নান উপলক্ষে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে কাচারিঘাটে শিশুদের জন্য মাটি দিয়ে তৈরি নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খেলনার মেলা বসেছে। দোকানিরা মাটির ব্যাংক, হাঁড়ি-পাতিল, পুতুল, পালকিসহ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলনাসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে মেলায়। আবাল বৃদ্ধ বণিতা সকলেই এসব খেলনার দোকান ঘিরে ভিড় করেছেন।
শুক্রবার বিকাল ৩ টায় ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সচিব জনাব রাজিব কুমার সরকার কাচারী ঘাট সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা অন্নপূর্ণা দেবনাথ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর,খাদ্য স্যানিস্টশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা মোহাব্বত আলী সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রমুখ।