রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর ব্যুরো:
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আলু উৎপাদনের জেলা বলা হয় রংপুরকে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তেমন বড় ধরনের রোগের কবলে পড়েনি আলু গাছ। এ কারণে বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে নগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে আগাম জাতের আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। ভালো ফলনের সঙ্গে দাম বেশি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। তবে কৃষকরা বিদেশে আলু রপ্তানী করার দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া, তালুক শাহবাজ,পীরগাছা উপজেলার ছাওলা, পাওটানার চরাঞ্চল ও গঙ্গাচড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, ক্ষেত থেকে আগাম আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কৃষক-কৃষানীরা।
কৃষি অধিদপ্তর রংপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৩ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার হেক্টরে রয়েছে আগাম জাতের আলু। সব মিলিয়ে এ জেলার জমি থেকে প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পীরগাছার পাওটানা চরের চাষি সোহাগ মিয়া ও আজগর আলী জানান, সার ও সেচে গতবারের তুলনায় খরচ বেশি হলেও এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় আলুর পচারি (বøাইড) রোগ দমনে খরচ তেমন হয়নি। জমিতে ২৫-৩০ জন আলু তুলছেন। গতবারের চেয়ে ফলন ভালো হয়েছে। তারা আরও জানান, এবার জমিতে থাকা অবস্থায় আলু বিক্রি হচ্ছে ১৭ টাকা কেজি দরে। একরে খরচ বাদ দিয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ থাকার কথা রয়েছে। কাউনিয়ার তালুক শাহবাজ গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেছেন। এখন আলু তুলছেন। গতবারের চেয়ে এবার ফলন ভালো হয়েছে। গতবারের এই সময়ের চেয়ে এবার কেজিতে ৩-৪ টাকা বেশি দাম পাওয়া যাচ্ছে। এতে লাভের মুখ দেখছি। নগরীর তামপাট এলাকার কৃষক নুর ইসলাম, হুমায়ন রশিদ শাহীন ও আশরাফুল আলমসহ কয়েকজন জানান, এবার আলুর দাম এখন পর্যন্ত ভালো আছে। এই বাজার থাকলে কৃষক লাভবান হবেন। তবে সবেমাত্র আলু উঠতে শুরু করেছে। পুরোদমে আলু উঠতে আরও এক মাস সময় লাগবে। সেই সময় পর্যন্ত দাম ভালো নাও থাকতে পারে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেছেন। এব্যাপারে রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীমুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ লাখ মেট্রিক টন। আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করেছে। এবার আবহাওয়া এখন পর্যন্ত আলু আবাদের জন্য অনুকূলে রয়েছে। এর ফলে লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রতি হেক্টরে ৩ থেকে ৪ মেট্রিক টন আলু বেশি উৎপাদন হবে বলেও তিনি জানান।