শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল,রংপুর:
@ নির্বাচনী এলাকায় ভোটাররা চেনে না অনেক প্রার্থীকে
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল বিএনপি। দলটি ৩শত আসনের মধ্যে ২৮০টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে । এর মধ্যে রংপুর বিভাগের আট জেলার ৩৩টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৪ জনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তারা দলীয় প্রতিক সোনালী আশ নিয়ে নির্বাচন করবেন।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোডে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার।
অন্যদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৮২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)। বৃহস্পতিবার বিএনএম মহাসচিব মো. শাহজাহান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকায় রংপুর বিভাগের মাত্র ৬টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে দলটি। মনোনীত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক নোঙর নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করবেন।
এদিকে সদ্য নিবন্ধিত তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ঘোষিত প্রার্থীদের নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক ও সচেতন মহল সহ তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়। কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন, যারা দল দুটির প্রার্থী হয়েছেন। তারা বেশিভাগই জন সম্পৃক্ত নয়। অনেকেই নিজ এলাকায় থাকেনও না। একারণে এসব প্রার্থীদের তাদের নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষজন চেনেই না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সচেতন মহল মনে করছেন, নিবন্ধন পাওয়ার পর দুলটির যে হাক-ডাক ছিল, অনেকেই যোগদান করবেন বলে জানিয়েছিলো। হাতে গোনা জাতীয় পার্টি, বিএনপি, এলডিপিসহ কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্য দল দুইটিতে যোগদান করেন। বার বার চমকের কথা বলা হলেও তা দেখাতে পারেনি। কিন্তুু শেষ পর্যন্ত তারা ব্যর্থ হয়। একারণে তারা মনে করেন, রাজনৈতিক ভাবে অন-অভিজ্ঞ, এলাকায় অপরিচিত ও দলছুটদের দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া যাবে। তবে ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব নয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোনালি আঁশ প্রতীকে অংশ নিচ্ছে তৃণমূল বিএনপি। দলটির প্রার্থী হিসেবে রংপুর জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে দলটি। এর মধ্যে রংপুর-১ আসনে বদরুদ্দোজা চৌধুরী, রংপুর-৫ আসনে খালেদা খানম ও রংপুর-৬ আসনে ইকবাল হোসেন লিপ্তকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চগড়-২ আসনের প্রার্থী আব্দুল আজিজ। ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আমিরুল ইসলাম ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনে অ্যাডভোকেট আফাজুল হক এবং মোজাফফর হোসেনকে প্রার্থী করা হয়েছে। আর দিনাজপুরের ছয়টির মধ্যে দিনাজপুর-১ আসনের প্রার্থী মশিউর রহমান, দিনাজপুর-৩ আসনে অ্যাডভোকেট মনজুরুল হক এবং দিনাজপুর-৬ আসনে মোফাজ্জল হোসেন।
নীলফামারীর চারটি আসনের প্রার্থীরা হলেন; নীলফামারী- অ্যাডভোকেট কেএনকে আলম চৌধুরী, নীলফামারী-৩ আসনে খলিলুর রহমান, নীলফামারী-৪ আসনে ডা. আব্দুল্লাহ আল নাসের, মোখলেছুর রহমান ওরফে মাহারুক খান এবং ছাদিকুর মিয়া তালুকদার। লালমনিরহাট-১ আসনে আবদুল আলীম, লালমনিরহাট-২ আসনে সিরিন তাবাসসুম রায়হান মসতাজীর তামান্না এবং লালমনিরহাট-৩ আসনে শামীম আহমেদ চৌধুরী। এছাড়া কুড়িগ্রামের চারটি আসনের তিনটিতে প্রার্থী দিয়েছে দলটি। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম-১ আসনে আশরাফ উদ্দিন মোড়ল, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে আব্দুল বাতেন এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনে আতিকুর রহমান খান। গাইবান্ধার পাঁচটির মধ্যে গাইবান্ধা-১ আসনে তাজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-৩ আসনে রেজাউল ইসলাম এবং গাইবান্ধা-৪ আসনে মোহাম্মদ ওবায়দুল হক সরকারকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে তৃণমূল বিএনপি। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোডে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার।
এদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৮২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)। বৃহস্পতিবার বিএনএম মহাসচিব মো. শাহজাহান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। সেই তালিকায় রয়েছে নীলফামারী-১ আসনের জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নীলফামারী- ৪ আসনে কমান্ডার (অব.) এম সাজেদুল করিম, কুড়িগ্রাম- ৩ (উলিপুর) আসনে ড. মো. সফিউর রহমান,লালমনিরহাট- ৩ (সদর) আসনে শামীম চৌধুরী, পঞ্চগড়-২ আসনে এস মাহমুদ হাসান, গাইবান্ধা-৩ আসনে মঞ্জুরুল হক। এর মধ্যে নীলফামারী- ১ আসনের জাফর ইকবাল সিদ্দিকী জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ছিলেন। বাকিদের রাজনৈতিক তেমন পরিচয় নেই। এলাকায় তেমন কেউ চেনেনও না। তাদের নিয়ে সাধারণ মানুষজনের মাঝে নানান আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।