শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০২ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর ব্যুরো:
রংপুর -৫ মিঠাপুকুর আসনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জমে উঠেছে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাচাইয়ে নৌকার প্রার্থী রাশেক রহমান, জাপা প্রার্থী আনিছুর রহমানসহ ৭ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকারের। ২০০১ সালের দায়ের করা একটি মামলার কারণে জাকির হোসেনের মনোনয়পত্রটি বাতিল করেছেন রংপুর জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান। সেই একই মামলায় ৩ নম্বর আসামী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রাশেক রহমান। একটি মামলার কারণে একজনের বৈধ ও আরেকজনের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে পক্ষপাত মুলক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন।
জানা গেছে, ২০০১ সালে মিঠাপুকুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ্ সোলায়মান আলম ফরির বাদি হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছিলেন। যার নং- জিআর ৫৪৯/২০০১। সেই মামলায় আসামি ছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমান, বর্তমান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রাশেক রহমান, তৎকালিন ছাত্রলীগের সম্পাদক মাহবুবার রহমান উজ্বল, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু মিয়া, সম্পাদক জাকির হোসেন, তৎকালিন যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুসহ ৯ জন। মামলায় জাকির হোসেনের গ্রাম ও পিতার নাম সঠিক ছিলনা। মামলাটি তদন্ত করে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কৃষ্ণ কুমার ২০/১১/২০০২ সালে মামলাটির চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করেন। এবিষয়ে জাকির হোসেন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, যে মামলাটি দেখানো হয়েছে, সেই মামলায় আমার পিতার নাম সঠিক নয়, গ্রামের নাম ভুল রয়েছে। সঠিক না থাকার কারণে থানা পুলিশ মামলাটি চুড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি ইতোপূর্বে ৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছি, বিজয়ী হয়েছি। তখন এরকম প্রশ্ন ওঠেনি। মুলত. আমার জনপ্রিয়তাকে ভয় করে একটি কু-চক্রী মহল চক্রান্ত করছে।
এ ব্যাপারে রংপুর জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তা মোবাশ্বের হাসান সাংবাদিকদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন তথ্য গোপন করায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ নিয়ে জাকির হোসেন তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন তিনি এই সিদ্ধান্তের কিরুদ্ধে উ”চ আদালতে আপীল করবেন।