শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়ির নাকের ডগায় (জঅঔঝঐঝঐও ওঘঘ জঊঝওউঊঘঞওঅখ খঞউ) নামে একটি আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে।
হোটেলটি রাজশাহীর উপ-শহরে ৩নং সেক্টর, হোল্ডিং-১৮৮, মারকাজ মসজিদের পশ্চিমে অবস্থিত।
গত প্রায় ৪ মাস ধরে হোটেলটির পরিচালক দেহ ব্যবস্যা দিয়েই কার্যক্রম শুরু করেছেন। বিভিন্ন বয়সি মেয়েদের আনাগোনা দেখা যায় হোটেলটিতে। এ নিয়ে স্থানীয়রা মধ্যে পথে, চায়ের দোকানে আলাপ-চারিতা করতেও শোনা যাচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ, ফাঁড়ীর ৩০০ গজের মধ্যে এই হোটেলটির অবস্থিত। হোটেলের পরিচালক মো. আবু ইউসুফ মাসুদ শুরু থেকে দেহ ব্যবসা চালালেও ফাঁড়ি থেকে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এমনকি প্রশাসনিক ভাবেও কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
হোটেলের পরিচালকের প্রধান সহযোগী কৌশিক। তার কাজ মূলত খদ্দেরদের মোবাইলে দেহ ব্যবসায়ীদের ছবি দেখানো। সেই সাথে দেনদরবারের মাধ্যমে খদ্দেরের পছন্দের নারী তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া।
এছাড়াও যুবক-যুবতীরা এই হোটেলে রুম ভাড়া নিয়ে দেদারসে ফুর্তি করছেন। আবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে হোটেলের বাইরেও সরবরাহ করা হচ্ছে যৌন কর্মীদের। এসকল যৌন কর্মীদের সরবরাহের জন্য কৌশিকের সহযোগী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে হোটেলের একাধিক স্টাফদের। তারা মোটরসাইকেলযোগে খদ্দেরদের ঠিকানায় পৌঁছে দিচ্ছেন যৌন কর্মী। তবে নারী পছন্দের বিষয়টি মূলত মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যৌনকর্মী সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত একাধিক মোটরসাইকেল হোটেলের সামনে রাখা রয়েছে। হোটেল থেকে বের হয়ে যৌনকর্মীরা বিভিন্ন মোটরসাইকেল যোগে চলে যাচ্ছে তাদের কাস্টমারদের দেয়া ঠিকানায়।
এ ব্যপারে জানতে আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু ইউসুফ মাসুদকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, আমার হোটেলের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন বানোয়াট। আমার হোটেলের দূর্ণাম করার উদ্দেশ্যেই এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে কতিপয় ব্যক্তি। আমার হেটেল নামে মাত্র মূল কাজ হলো দেহ ব্যবসা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার হোটেলে চায়ের দাওয়াত রইলো। আসুন সাক্ষাতে আলাপ করবো।
এ ব্যপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই শাহীন জানান, উদ্বোধনের এক সপ্তাহ্ পরেই হোটেলটিতে অভিযান চালানো হয়েছিলো। এরপর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন স্যার হোটেলের পরিচালককে ডেকে অনৈতিক কর্মকান্ড না চালানোর বিষয়ে শতর্ক করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এখনো ওই হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে। এমন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে আমি ওসি স্যারকে বিষয়টি অবগত করবো।