রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৭ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্থানীয়দের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দোষীদের শাস্তি এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সিনেট ভবনের সামনে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকদের ব্যানারে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান তারা। কর্মসূচিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন মোল্লা বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িত বাসের কন্ট্রাক্টর, মালিকসহ সবাই বলেছে তুচ্ছ ঘটনা। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শত শত ছাত্রকে মেডিকেলে যেতে হলো, বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্রে পরিণত হলো। শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ আবার চোখ হারানোর ভয়ে আছে। কেউ কেউ গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় অবস্থান করছে। আমাদের ছাত্ররা সবসময় ন্যায্য আন্দোলন করে। আমাদের ছাত্রদের আন্দোলনের ইতিহাস, ঐতিহ্য আছে। দেশ বিরোধী সকল আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এঘটনার একটা সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। এই মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা এখন আতঙ্কিত হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাদের উপর গুলি চালানো হয়েছে। তাহলে তাদের নিরাপত্তা কোথায় থাকলো। আমাদের শিক্ষার্থীদের যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে । অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, গত ১১মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি কালো দিন। এইদিন বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়েছে। আমি ২৪ বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে এত রক্তাক্তের ঘটনা দেখিনি। এতবড় ঘটনা কেন ঘটলো, কারা এর সাথে সস্মৃক্ত ছিল, পুলিশ কেন গুলি চালালো এগুলো ছোট করে দেখা যাবে না। আমি চাই বিচার বিভাগে এর তদন্ত হোক। এই ঘটনায় দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক। এই অধ্যাপক আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পুলিশ কীভাবে গুলি চালায়? আমাদের শিক্ষার্থীরা নির্মমভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের শরীরে প্যালেটগুলো এখনো লেগে আছে। এই ঘটনাগুলো কেন ঘটল? প্রশাসন কেন সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিতে পারল না? আমরা এর কারণ জানতে চাই। আগামীদিনে শিক্ষার্থীরা এমন রক্তাক্ত হোক আমরা এটা প্রত্যাশা করি না। আমরা চাই শিক্ষাঙ্গন নিরাপদ থাকুক এবং লেখাপড়ার একটি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকুক। বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, স¤প্রতি যে ঘটনা ঘটেছে তা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্রের সাথে যায় না। কোন একটা ঘটনা যখন ঘটে তখন আমরা তীব্র উত্তেজনায় জড়াই। তারপর আবার থেমে যাই। পরবর্তীতে আবার আরেকটা অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য অপেক্ষা করি। আসলে লড়াই করে কেউ জিততে পারবে না। যেখানে যত নমনীয়তা প্রদর্শন করা যায়, সহিষ্ণু হওয়া যায় সেখানে তত লাভ। এসব সংঘর্ষে সবারই ক্ষতি। কেউ লাভবান হবে না। এ সময় এ অধ্যাপক কয়েকটি দাবি জানান। দাবিগুলো হলো, শিক্ষার্থীদের বৈধ আবাসনের ব্যাবস্থা, ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত , নির্বাচনের মাধ্যমে রাকসুর প্রতিনিধি নির্বাচন এবং সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহŸায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর, সদস্য সচিব আমান উল্লাহ খান। কর্মসূচি সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।