বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
তীব্র জনবল ও রেশম গুটি ক্রয়ের তহবিল সংকট, চায়না সুতার আমদানি ছাড়াও ঋণ সুবিধা না পাওয়াসহ নানা সমস্যা ধুকছে রাজশাহীর রেশম শিল্প। এই শিল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। এদিকে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডে জনবল সংকট দীর্ঘ দিনের। রেশম বোর্ডে অনুমেদিত পদের সংখ্যা ৫৮১টি। এই পদের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র ১৫২ জন। আর শূন্য পদ রয়েছে ৪২৯টি।
জনবল সংকট ছাড়াও শ্রমিকদের সাত মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ নিয়ে নতুন করে সংকট তৈরি হয়েছে। বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। গত ২২ জানুয়ারি থেকে শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে-‘সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করা হচ্ছে।’তবে এমন সংকটের পরেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিস্টরা বলছেন, দেশে ৯টি উচ্চ ফলনশীল তুঁতজাত উদ্ভাবন করেছে রেশম গবেষণাগার। ফলে রেশম গুটির গড় উৎপাদন বেড়েছে ৩০ থেকে ৭০ কেজি। এমন অবস্থায় সুদিন ফিরতে শুরু করেছে রেশম শিল্পে। জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে উত্তরা গণভবন, নাটোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজশাহীর রেশম গুটি ও বস্ত্র দেখে চমৎকৃত হন এবং রেশম শিল্প বিকাশে স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তারই ফসল হিসেবে পরবর্তীতে ঐতিহ্যবাহী রেশম শিল্পের ব্যাপক স¤প্রসারণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড গঠিত হয়। তার পরবর্তী সময়ে এখানে জনবল সংকট দেখা দেয়।
কর্মচারীরা জানান, জনবল সংকট দীর্ঘদিন ধরে। এমন অবস্থায় বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করতে বেগ পেতে হয়। নিজের কাজ শেষেও শূন্য পদের ওই মানুষের কাজ তুলতে হয়। এমন অবস্থায় একেজনকে কয়েক জনের কাজ করতে হয়।
এদিকে বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের ১৫৭ শ্রমিক সাত মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন করছেন। বিক্ষোভে শ্রমিকরা নিজেদের কষ্টের কথাগুলো গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তুলে ধরেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ১১৯ শ্রমিক, রাঙ্গামাটি কাপ্তাই জার্ম প্লাজম মেইনটেন্যান্স সেন্টার চন্দ্রঘোনা (রাঙ্গামাটি) ২৩ জন ও সাঁকোয়া পঞ্চগড়ের ১৫ জন শ্রমিক রয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক (অর্থ ও পরিকল্পনা) ড. এম এ মান্নান সাংবাদিকদের জানান, রেশম উন্নয়ন বোর্ড, সিল্ক ফাউন্ডেশন ও রেশম গবেষণা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট এক সঙ্গে হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ফলে একেক জনকে অতিরিক্ত চার থেকে পাঁচজনের দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে।