বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর:
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী ২০ অক্টোবর শুরু হচ্ছে এ পূজা। শেরপুরের বিভিন্ন ক্লাব বা সংগঠন, মহল্লা এবং নিজস্ব বাসা-বাড়িতে এ পূজার আয়োজন করা হয়।এবারও শহরের বিভিন্ন মহল্লায় শুরু হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। তবে জেলা শহরের অদূরে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের বয়ড়া পালপাড়ায় চলছে প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততা। পাল পাড়ার বেশ কয়েকজন প্রতিমা কারিগর রেডিমেড এবং অর্ডারকৃত প্রতিমা তৈরি করে থাকে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও তারা রেডিমেড এবং অর্ডারকৃত প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে নিয়ে এসেছে। এখন শুধু ফিনিশিং এবং রঙের কাজ বাদ রয়েছে। আগের মতো লাভ না হলেও বাব-দাদার ঐতিহ্য ও পেশা ধরে রেখে কোনো রকমে টিকে আছে এ পালপাড়ার প্রতিমা কারিগররা।শেরপুর পৌর এলাকাসংলগ্ন সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের বয়ড়া পালপাড়ায় দুই ঘর পরিবার বেশ কিছু দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ করে যচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করে অর্ডার সরবরাহ করা হবে এবং রেডিমেড প্রতিমাও বিক্রি শুরু করবে। তাই এখন সেখানে প্রতিমা কারিগররা বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। পালপাড়ায় কেউ কেউ ১০টা থেকে শুরু করে ২০টা প্রতিমা অর্ডার নিয়েছে। ইতোমধ্যে সেগুলোর প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ করা হয়েছে। এরপর বাকি কাজ শেষ করে ডেলিভারি দেওয়া হবে।পালপাড়ায় প্রতিমা তৈরির কারিগরদের পাশপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে তৈরি প্রতিমা তৈরিতে সহযোগিতা করে থাকেন। তবে পুরুষরা বাড়ির অর্ডারের পাশাপাশি তারা বিভিন্ন ক্লাব ও বাসা-বাড়িতেও প্রতিমা তৈরির কাজ করছে বলে জানায় পালপাড়ার প্রতিমা তৈরির কারিগরদের পরিবারের সদস্যরা।পালপাড়ার আশপাশের মানুষও জানায়, তাদের সেই আগের মতো সুদিন আর নেই। তাই তারা কোনরকমে তাদের পৈত্রিক পেশায় টিকে আছে। তারপরও দুর্গাপূজার এ সময় আসলে পালপাড়ায় চলে ব্যস্ত সময়।শেরপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত দে ভানু জানান, জেলায় এবার দেড় শতাধিক পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতিও চলছে বেশ জোড়েসোরে। এ সপ্তাহের মধ্যে আমাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের দুর্গাপূজার সার্বিক বিষয় নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে।