শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর :
শেরপুরের তিন উপজেলায় নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ মে) রাতে শেরপুর সদর, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওইসময় তাদের কাছ থেকে ককটেল ও পেট্রোল বোমাসহ নাশকতার নানা সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শেরপুর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাদেক হোসেন, বাজিতখিলা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. আলম খান, ধলা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. রহুল আমীন, ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. শহীদুল্লাহ এবং শ্রীবরদী পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মো. মাসুদ মিয়া, পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, ভেলুয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মো. বাদল মিয়া, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো. খলিলুর রহমান ও কাকিলাকুড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মো. রানা মিয়া। এ ঘটনায় সোমবার স্ব-স্ব থানায় বিস্ফোরক আইনের ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইসাথে সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শেরপুর শহরের চাপাতলী এলাকায় জেলা পরিষদের সামনের সড়কে অভিযান চালিয়ে নাশকতার চেষ্টাকালে ৪টি ককটেলসহ বিএনপির ৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ঘটনায় ২৫ জনকে স্বনামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করে সদর থানায় বিস্ফোরক আইনের একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল আলম ভুঁইয়া জানান, উপজেলার ডাকাবর এলাকায় বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী নাশকতার উদ্দেশ্যে জড়ো হচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রুকনুজ্জামান ও শহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সেখান থেকে ৫টি ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় ১৫ জনকে স্বনামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করে ঝিনাইগাতী থানায় বিস্ফোরক আইনের একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার দহেড়পাড় এলাকার ঈদগাহ মাঠে অভিযান চালায় পুলিশ। ওইসময় ৩টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ১০টি লোহার রড, ৪টি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ, ২টি দা ২০টি বাঁশের লাঠি ও ২০টি ইটের টুকরাসহ ৬ বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার ওই ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় ৪১ জনকে স্বনামে ও অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনের নামে থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।