মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০১ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

শেরপুরে শীতের তীব্রতায় জবুথুবু সাধারণ মানুষ

Reading Time: 2 minutes

শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর :
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা গারো পাহাড়ের শেরপুর জেলায় তীব্র শৈতপ্রবাহে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা আর কনকনে হিমেল হাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। শীতের তীব্রতায় জবুথুবু সাধারণ মানুষ। শেরপুর গারো পাহাড় এলকায় প্রতিবছরই শীতের প্রভাবটা একটু বেশী পড়ে। এখানকার বেশীর ভাগ মানুষের বসবাস দরিদ্র সীমার নীচে । তাই শীতের শুরুতেই গরম কাপড়ের অভাবে থর থর করে কাঁপে হতদরিদ্র মানুষ। উত্তরের হিমবায়ুর প্রভাবে হাড় কাঁপানো শীতে কাজে যোগদান করতে পরেছেন না
শ্রমিকরা। তীব্র শীতে কষ্ট বেড়েছে নিম্নআয়ের মানুষের। তারা পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে রয়েছেন। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে শীতার্তরা জানান। গত ৬ দিন ধরে জেলার আকাশে সূর্যের দেখা মিলছে না। দুপুরের পরে দুই এক ঘণ্টা হালকা রোদ উঠলেও সঙ্গে বইতে থাকে হিমেল হাওয়া। বর্তমানে জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি জনপদ নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতি ও শ্রীবরদী উপজেলার গ্রামগুলোতে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। দিনের বেলায় তাপমাত্রা থাকে ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাতের বেলায় ৮ থেকে ১০ ডিগ্রিতে নেমে আসে। তীব্র শীতের কারণে এসব অঞ্চলের বৃদ্ধ ও শিশুরা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শীতের কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না গবাদি পশুও। কৃষকরা তাদের পশুদের চটের বস্তা গায়ে জড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কনকনে শীতে চলমান বোরো আবাদে ধান লাগাতে পারছেন না কৃষকরা। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকের বীজতলা। এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস জানান, শীতের কারণে বীজতলার ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলেও ক্ষতি রোধে কৃষকদের সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঠান্ডার কারণে জমি তৈরি করে বোরো চারা রোপণ কিছুটা ধীরগতি হচ্ছে। তবে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় বোরো চারা রোপণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮৭৬ হেক্টর জমিতে। এবার আবাদের
লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯১ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, এ বছর শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। সর্বশেষ আমাদের শেরপুরে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নেমেছে। এতে অস্বচ্ছল মানুষের শীতজনিত কষ্ট বেড়েছে। এই শীতার্তদের শীত নিবারণের জন্য আমরা সরকার থেকে এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৬৫০ পিস কম্বল বরাদ্দ পেয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ কাজ চলমান রয়েছে।এছাড়া সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদেরও শীতার্ত মানুষের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান
জেলা প্রশাসক।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com