রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজশাহী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সাবেক সহকারী পরিচালক ও বর্তমানে রাজশাহী আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারি পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল ফিরোজের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খায়রুল বাশার।
রাজশাহী দুদক সূত্র জানিয়েছে, আব্দুল্লাহ আল ফিরোজের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চলমান। সেই সঙ্গে তার স্ত্রী জেসমিন আরা পারভিন, ছেলে জাহিদ বিন আব্দুল্লাহ, রাফিদ বিন আব্দুল্লাহ, মেয়ে ফাতেমা বিনতে আব্দুল্লাহ ও ফাতেহা বিনতে আব্দুল্লাহর নামে কোনো সম্পদ রয়েছে কি না, তারও অনুসন্ধান করছে দুদক। জানা গেছে, আব্দুল্লাহ আল ফিরোজসহ তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের নামে কোথায় কী পরিমাণ সম্পদ আছে অথবা আদৌ আছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে অনুসন্ধান কর্মকর্তা এরই মধ্যে রাজশাহী, নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁও জেলার সাব-রেজিস্টার অফিস, বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি এই কর্মকর্তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব চেয়ে এরই মধ্যে দুদক থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সম্পদ বিবরণী দাখিলের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক। বিষয়গুলো নিশ্চিত করে দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, দুদকের একজন সহকারী পরিচালকের দায়িত্বে আব্দুল্লাহ আল ফিরোজের দুর্নীতির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অনুসন্ধান পর্ব সম্পন্ন হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল্লাহ আল ফিরোজের অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগ। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে আব্দুল্লাহ আল ফিরোজের দুর্নীতি অনুসন্ধানের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক খায়রুল বাশারকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, আব্দুল্লাহ আল ফিরোজ রাজশাহী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন বিভিন্ন খাতের বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করেন। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন খাতে সহায়তাবাবদ আসা বিপুল অর্থও আত্মসাৎ করেছেন এই কর্মকর্তা।
দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে আব্দুল্লাহ আল ফিরোজ রাজশাহী নগরী ও নিজ জেলা নওগাঁতেও বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহীর তেরখাদিয়া সিটি হাট সড়কের একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর সাপাহার উপজেলার তিলনা গ্রামে। তার স্ত্রী জেসমিনের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের বিষয়ে ড. আব্দুল্লাহ আল ফিরোজ বলেন, আমাদের কার্যালয়ের পরিচালকসহ আরেকজন মিলে আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দাখিল করেছে। আমি এই মুহূর্তে একটু ব্যস্ত আছি, আপনার সঙ্গে এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।