শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শাহরিয়ার মিল্টন, শেরপুর:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-১ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানুয়ার হোসেন ছানুকে সমর্থন দেওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব মো. ইলিয়াছ উদ্দিনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়। জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে শেরপুর-১ আসনে জেলা জাপার সভাপতি আলহাজ্ব মো. ইলিয়াছ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হক মনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হলে দলের তরফ থেকে দুজনকেই প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হয়। সে মোতাবেক দুজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।কিন্তু বাছাইকালে ব্যাংক ঋণ ও ইউটিলিটি বিল খেলাপির দায়ে ইলিয়াছ উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। বাছাইয়ে অপর প্রার্থী মাহমুদুল হক মনি বৈধ হওয়ায় এবং দলের চিঠির সুবাদে তাকে লাঙল প্রতীক বরাদ্দ দেয় রিটার্নিং অফিস। সে অনুযায়ী দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী কেন্দ্র উদ্বোধনসহ প্রচার-প্রচারণা ও পোস্টারিং করেন মাহমুদুল হক মনি। কিন্তু দীর্ঘ লড়াই করে অবশেষে গত ২১ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পান ইলিয়াছ উদ্দিন। তবে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে সৃষ্টি হয় জটিলতা। সে জটিলতা এখনও কাটেনি।এরই মাঝে নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দলের দায়িত্বে থেকেই সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাপা প্রার্থী মনিকে বর্জন ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন জানান ইলিয়াছ। অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুর-১ আসনে জাপা মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. মাহমুদুল হক মনি জানান, অব্যাহতি পাওয়া জেলা জাপার সভাপতি মো. ইলিয়াছ উদ্দিন শুরু থেকেই আমাকে অসহযোগিতা করে আসছিলেন। সোমবার বিকেলে শহরের রঘুনাথবাজারস্থ ইলিয়াছ প্লাজায় তার উদ্যোগে স্থানীয় দলীয় কিছু নেতা-কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি আমাকে বর্জন ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দেন। বিষয়টি দলের গুরুতর শৃঙ্খলা পরিপন্থী হওয়ায় দল তার বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে তার ওই যোগদানে লাঙল প্রতীকের নির্বাচনে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না বলে তিনি দাবি করেন। এ বিষয়ে মো. ইলিয়াছ উদ্দিন বলেন, আমি অব্যাহতির কোনো চিঠি পাইনি। দলীয় হাই কমান্ড যদি অব্যাহতি দেন, তাহলেতো আমার করার কিছু নেই। আমি যে কাজ করেছি তাতে আমাকে বহিষ্কার করতে পারে না। এই বহিষ্কার ইস্যুটা কৌশল ও ষড়যন্ত্র বলে আমি মনে করি।