শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
কামরুল হাসান,ময়মনসিংহ:
অটোচালক হত্যা ও অটো ছিনতাই হত্যা মামলার ঘটনার রহস্য উন্মোচনপূর্বক ছিনতাইকৃত অটোরিকশার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার এবং হত্যার সাথে জড়িত ০৪ চার জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, ব্যাটালিয়ন সদর, ময়মনসিংহ।বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব -১৪ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মহিবুল ইসলাম খান জানান, গত ১৪ অক্টোবর আনুমানিক আড়াইটার দিকে ভিকটিম কাওসার (১৫) যাত্রী বহনের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে অটোরিক্সা নিয়ে বের হয়। সন্ধ্যা গড়িয়ে গভীর রাতেও ভিকটিম ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করতে পারেনি। ভিকটিমকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে।গত ১৬ অক্টোবর অনুমান সকাল ১০ টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জিএমপি সদর থানাধীন গজারীয়া এলাকায় নিটল মটরস্ শোরুম সংলগ্ল গজারী বনের ভিতরে স্থানীয়রা অজ্ঞাত এক মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরদিন ১৭ অক্টোবর ভিকটিমের পরিবার একটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে জানতে পেরে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে আসে এবং ভিকটিমের বাবা লাশ সনাক্ত করে।উক্ত ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পর থেকে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ উক্ত ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র্যাব অধিনায়কের নির্দেশক্রমে উপ পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি চৌকস অভিযানিক দল ১৭ অক্টোবর মধ্যরাত হতে ১৮ অক্টোবর ভোর রাত পর্যন্ত গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্লুলেস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৪ আসামী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব – ১৪।গ্রেফতারকৃত আসামী ত্রয় মো. মনজুরুল হক (৩৩), পিতা- মৃত আব্দুল সালাম গ্রাম – মধ্য ভাটিরচর পারা, থানা-ত্রিশাল, জেলা- ময়মনসিংহ, মো. সুলতান (৩৮) , পিতা – নবী হোসেন, গ্রাম – কচুরি নয়া পাড়া, থানা – নান্দাইল, জেলা – ময়মনসিংহ, মো. আশিক (২২), পিতা – মৃত আলম ফকির , গ্রাম – নয়নপুর , থানা – জয়দেবপুর, জেলা গাজীপুর এলাকা থেকে এবং মো. আলী হোসেন (১৯) পিতা- মোঃ আবু হানিফ , সাং- বাবু খালি , জেলা -ময়মনসিংহকে ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাকী পলাতক আসামীদের ধরার অভিযান অব্যহত রয়েছে। গ্রেফতার কৃত আসামীদের নিকট হতে অটোরিকশার তিনটি টায়ার, পাঁচটি ব্যাটারি, সম্মুখ গ্লাস, একজোড়া সকেট জাম্পার, একটি কন্ট্রোলার, একটি হ্যান্ডেল বার,একটি মিটার, একটি মটার, একটি ডিফেন্সিয়াল এবং ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি বাটন মোবাইল ।গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, গ্রেফতার কৃত আসামী আলী হোসেন, মনজুরুল হক, ও অপর এক পলাতক আসামী সহ ভিকটিমকে সু-কৌশুলে ভালুকা থেকে গাজীপুরের সদর থানা এলাকায় নিয়ে যায়। আসামী মো. আলী হোসেন অটোচালক ভিকটিমকে সেভেন আপ এর মধ্যে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ালে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে যায়। অজ্ঞান হয়ে গেলে আলী হোসেন ভিকটিমকে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে হাত পা বেধে ভিকটিমকে ছুরি দ্বারা আঘাত করে ভিকটিমকে হত্যা করে অটো নিয়ে পালিয়ে যায়।গ্রেফতারকৃত আসামীকে গাজীপুর সদর থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।