শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

১৫ মাস গণরুমে থেকেও বরাদ্দ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা; সমালোচনা ঝড়

১৫ মাস গণরুমে থেকেও বরাদ্দ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা; সমালোচনা ঝড়

Reading Time: 2 minutes

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী :
বিপ্লব পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার পর আবাসিক হলে সীট বরাদ্দের জন্য প্রণয়ন করেছেন নতুন নীতিমালা। এ নীতিমালার ছকে পড়ে ১৫ মাস গণরুমে থাকারপরও সীট পাচ্ছেন না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণরুমের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ক্যাম্পাসের কাছাকাছি বাসা, অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল অনেকেই গণরুমে না থেকেই সরাসরি রুম বরাদ্দ পাচ্ছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও নতুন নিয়মে সীট বরাদ্দ নিয়ে সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের গণরুম নানা সমস্যায় জর্জরিত। ১০০টি সীটে ডাবলিং করে থাকেন ২০০ জন শিক্ষার্থী। নেই পর্যাপ্ত ওয়াশরুম, পানি ও পড়াশোনা করার ব্যবস্থা। ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে নানামুখী এসব সমস্যা উপেক্ষা করে সেখানে থাকছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রায় ১৫ মাস ধরে গণরুমে অবস্থান করছেন। কিন্তু নতুন বরাদ্দে রুম না পেয়ে বিক্ষুব্ধ ও মানসিকভাবে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছেন তারা।
কেবল বঙ্গমাতা হল নয় এ চিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রী আবাসিক হলের। অন্যদিকে তিনটি ছাত্র আবাসিক হলে গণরুম রয়েছে সেগুলোতেও একই চিত্র দেখা গেছে। পূর্বে রুম বরাদ্দ পাওয়া গণরুমে সীট পেয়ে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থান করার উপর নির্ভর করলে বর্তমানে এ নিয়ম ভেঙে দেওয়ার ফলে বিপাকে গণরুমের শিক্ষার্থী।
বঙ্গমাতা হলের গণরুমে অবস্থান করা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাহাত আরা গীতি বলেন, “গণরুমে সমস্যার শেষ নেই। তবুও নিজের সমস্যার কারণে সব উপেক্ষা করে এখানে অনেক কষ্টে অবস্থান করছি। আমাদের মধ্যে অনেকেই ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে এখানে আছি। হঠাৎ করেই নতুন নিয়ম করলো। এতে শুধু রেজাল্টের ফলে গণরুমে না থেকে, অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল, স্থানীয় অনেকেই সীট পাচ্ছে অথচ আমরা গরুঘরেই পড়ে আছি। হল প্রভোস্ট কথা দিয়েছেন আমাদেরকে অগ্রাধিকার দিবে কিন্তু নতুন আবাসিকতার একটা তালিকা দিয়েছিল যেখানে গণরুমের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি। আমরা তা ছিড়ে ফেলেছি। শুধু রেজাল্টের ভিত্তিতে আবাসিকতা দেওয়া এটা বড় বৈষম্য। যাদের রেজাল্ট ভালো না তারা কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না? তাদের কি হলে থাকার অধিকার নেই? এ নিয়ম হাস্যকর”।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গমাতা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক লাভলী নাহার বলেন, “নতুন নিয়ম মেনে আমি রুম বরাদ্দ দিচ্ছি। এতে নিয়মের ভিত্তিতে যারা এগিয়ে তারা সীট পাচ্ছে। গণরুমে কারা আছেন, কাদের বাসা কাছাকাছি কিংবা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হয়ে সীট পাচ্ছে এসব বিষয়ে বিবেচনা নতুন নিয়মে নেই। ফলে আমি চাইলেই গণরুমের কাউকে বিশেষ সুবিধা দিতে অক্ষম। গণরুমে মেয়েরা অনেক সমস্যার মধ্যে আছে সেটা আমি জানি। দায়িত্ব নেয়ার পর সমস্যা দূর করার জন্য ইতিমধ্যে কাজ করছি”।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com