বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৮ অপরাহ্ন

News Headline :
কুষ্টিয়ার নিখোজ ২ এএসআই এর লাশ পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার এবার প্রকাশ্যে এলেন ইবি শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি গোদাগাড়ীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ডালিম আমরণ অনশনে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা পুলিশ কর্মকর্তা বিজয়-উৎপলকে ধরলেই মিলবে কাজেম হত্যার উত্তর: দাবি চিকিৎসকদের সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে  বিক্ষোভ ও মানববন্ধন  দেশদ্রোহী খুনি হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে–আহসান হাবিব লিংকন রংপুরে জমি লিখে না দেয়া মাকে বেধড়ক পেঠালো ছেলে ও ছেলের বউরা শ্রীবরদীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এতিম ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ মান্দায় মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৩শো গাছ উপড়ে ও ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ

১৫ মাস গণরুমে থেকেও বরাদ্দ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা; সমালোচনা ঝড়

১৫ মাস গণরুমে থেকেও বরাদ্দ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা; সমালোচনা ঝড়

Reading Time: 2 minutes

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী :
বিপ্লব পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার পর আবাসিক হলে সীট বরাদ্দের জন্য প্রণয়ন করেছেন নতুন নীতিমালা। এ নীতিমালার ছকে পড়ে ১৫ মাস গণরুমে থাকারপরও সীট পাচ্ছেন না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণরুমের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ক্যাম্পাসের কাছাকাছি বাসা, অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল অনেকেই গণরুমে না থেকেই সরাসরি রুম বরাদ্দ পাচ্ছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও নতুন নিয়মে সীট বরাদ্দ নিয়ে সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের গণরুম নানা সমস্যায় জর্জরিত। ১০০টি সীটে ডাবলিং করে থাকেন ২০০ জন শিক্ষার্থী। নেই পর্যাপ্ত ওয়াশরুম, পানি ও পড়াশোনা করার ব্যবস্থা। ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে নানামুখী এসব সমস্যা উপেক্ষা করে সেখানে থাকছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রায় ১৫ মাস ধরে গণরুমে অবস্থান করছেন। কিন্তু নতুন বরাদ্দে রুম না পেয়ে বিক্ষুব্ধ ও মানসিকভাবে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছেন তারা।
কেবল বঙ্গমাতা হল নয় এ চিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রী আবাসিক হলের। অন্যদিকে তিনটি ছাত্র আবাসিক হলে গণরুম রয়েছে সেগুলোতেও একই চিত্র দেখা গেছে। পূর্বে রুম বরাদ্দ পাওয়া গণরুমে সীট পেয়ে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থান করার উপর নির্ভর করলে বর্তমানে এ নিয়ম ভেঙে দেওয়ার ফলে বিপাকে গণরুমের শিক্ষার্থী।
বঙ্গমাতা হলের গণরুমে অবস্থান করা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাহাত আরা গীতি বলেন, “গণরুমে সমস্যার শেষ নেই। তবুও নিজের সমস্যার কারণে সব উপেক্ষা করে এখানে অনেক কষ্টে অবস্থান করছি। আমাদের মধ্যে অনেকেই ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে এখানে আছি। হঠাৎ করেই নতুন নিয়ম করলো। এতে শুধু রেজাল্টের ফলে গণরুমে না থেকে, অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল, স্থানীয় অনেকেই সীট পাচ্ছে অথচ আমরা গরুঘরেই পড়ে আছি। হল প্রভোস্ট কথা দিয়েছেন আমাদেরকে অগ্রাধিকার দিবে কিন্তু নতুন আবাসিকতার একটা তালিকা দিয়েছিল যেখানে গণরুমের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি। আমরা তা ছিড়ে ফেলেছি। শুধু রেজাল্টের ভিত্তিতে আবাসিকতা দেওয়া এটা বড় বৈষম্য। যাদের রেজাল্ট ভালো না তারা কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না? তাদের কি হলে থাকার অধিকার নেই? এ নিয়ম হাস্যকর”।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গমাতা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক লাভলী নাহার বলেন, “নতুন নিয়ম মেনে আমি রুম বরাদ্দ দিচ্ছি। এতে নিয়মের ভিত্তিতে যারা এগিয়ে তারা সীট পাচ্ছে। গণরুমে কারা আছেন, কাদের বাসা কাছাকাছি কিংবা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হয়ে সীট পাচ্ছে এসব বিষয়ে বিবেচনা নতুন নিয়মে নেই। ফলে আমি চাইলেই গণরুমের কাউকে বিশেষ সুবিধা দিতে অক্ষম। গণরুমে মেয়েরা অনেক সমস্যার মধ্যে আছে সেটা আমি জানি। দায়িত্ব নেয়ার পর সমস্যা দূর করার জন্য ইতিমধ্যে কাজ করছি”।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com