মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

৭ লাখ টাকা দেন মোহরে দাদিকে বিয়ে করলেন নাতি

Reading Time: < 1 minute

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা:
ভোলা চরফ্যাশন উপজেলায় ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে দাদিকে বিয়ে করেছেন মো. মিরাজ (২৩) নামে এক যুবক। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। গত বুধবার (২১ মে) ভোলা গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। এরপর একই দিন নাতি তার দাদিকে কাজির মাধ্যমে আবারও বিয়ে করেন। গতকাল বুধবার (৩১ মে) উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তাদের একনজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করছে স্থানীয় মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিরাজের দাদা শাহে আলম ব্যাপারী তিনটি বিয়ে করেন। সামসুন্নাহার বেগম (৪২) মিরাজের দাদার তৃতীয় স্ত্রী। কিন্তু মিরাজ দাদার প্রথম স্ত্রীর নাতি। প্রায় দেড় বছর আগে মিরাজের দাদা শাহে আলম মারা যান। এরপর থেকে তিন সন্তানের জননী সামসুন্নাহার একা হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে দেখাশোনার দায়িত্ব নেন নাতি মিরাজ। এদিকে, দাদি সামসুন্নহারের বাড়ি যাতায়াত করতে থাকেন মিরাজ। পরে স্থানীয়রা তাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে থাকেন। এই কারণে নাতি মিরাজ ও সামসুন্নাহার গত ২১ মে ভোলা গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। পরে একই কাজির মাধ্যমে তারা আবারও বিয়ে করেন। এ বিষয়ে মিরাজ জানান, বিয়ে করাটা কোনো পাপ না। আমি দাদিকে বিয়ে করে কোনো পাপ করিনি। আমি নিয়ম মেনেই বিয়ে করেছি। আমাদের সংসার সুখেই চলছে। দাদি সামসুন্নাহার বেগম জানান, মিরাজ ও আমি দুজনেই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোলায় গিয়ে বিয়ে করেছি। তবে মিরাজের বাবা-মা আমাদের বিয়ে নিয়ে একটু অসন্তুষ্ট। কিন্তু ঝামেলা নেই। বিয়ের পর মিরাজ আমার বাড়িতেই আছে। আমাদের সংসার ভালোই চলছে। এছাড়া মিরাজ মাছ ধরে। এতেই চলে যাবে। শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটওয়ারী জানান, দাদি ও নাতির বিয়ের খবরটি শুনেছি। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, জোর করে কেউ কাউকে বিয়ে করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com