বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন

News Headline :
রংপুরে জমি লিখে না দেয়া মাকে বেধড়ক পেঠালো ছেলে ও ছেলের বউরা শ্রীবরদীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এতিম ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ মান্দায় মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৩শো গাছ উপড়ে ও ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ ১৫ মাস গণরুমে থেকেও বরাদ্দ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা; সমালোচনা ঝড় রাজশাহীতে অর্ধকোটি টাকার হেরোইনসহ মাদক কারবারী গ্রেফতার স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের বিচার দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ রংপুরে কাওছার জামান বাবলার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বসতভিটা দখল চেষ্টার অভিযোগ মহানগরীর ভদ্রায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক শিশুর মৃত্যু পাবনা জেলা কৃষকদলের কমিটি ঘোষনা সভাপতি হাশেম সাম্পাদক আসিপ আনন্দ র‌্যালী সিন্ডিকেট রুখতে মধুপুরে স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র সমাজের উদ্যোগে ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রয়

অনিয়ম আর দূর্নীতির আতুরঘর পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১

Reading Time: 2 minutes

ঈশ্বরদী, পাবনা প্র্রতিনিধি :
অনিয়ম আর দূর্নীতিতে ভরপুর ঈশ্বরদী থানাধীন পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর দাশুড়িয়া জোনাল অফিস। নতুন সংযোগে ভোগান্তি, ভূতুরে বিদ্যুৎ বিল তৈরী, বিলিং সেকশনে জন ভোগান্তিসহ নানা অনিয়মে ভরপুর পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১। চলমান মুজিব বর্ষে দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত উদ্যোগকে ভূলুন্ঠিত করে জনমনে মুজিববর্ষে দেয়া স্লোগানকে (“শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ”) প্রশ্নবিদ্ধ করেছে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ । পল্লী বিদ্যুতের আলোর ফেরিওয়ালার বিদ্যুতের ফেরি তাইতো বারং বার বুকের পাজর ভেঙ্গে দিয়েছে নতুন সংযোগ প্রত্যাশীদের। মুজিব বর্ষ পল্লী বিদ্যুতের সেবা বর্ষ হলেও গত তিন বছর ধরে টাকা জমা দিলেও অদৃশ্য কারনে পল্লীবিদ্যুত থেকে সংযোগ পায়নি উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের বয়রা আশ্রয়ন প্রকল্পের ৮ টি পরিবার। জানাযায়, পল্লী বিদ্যুতের সংযোগের জন্য গত তিন বছর আগে মিটার প্রতি তিন হাজার টাকা হিসেবে মোট আটটি সংযোগের জন্য টাকা জমা দিয়েছিলেন মো. আতাউর রহমান, মো. খলিল, মো. ফরিদ মো. ফরহাদ মো. রাসেল মো. সাইফুল মো. আলামিন এবং মো. আজিজুর রহমান। টাকা পেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ খুটি পুতে তাতে সংযোগ লাইন টানলেও হতভাগাদের ঘরে আজও জোটেনি বিদ্যুতের সংযোগ। সংযোগের জন্য একাধিকবার মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দিলেও তাতে কর্ণপাত করেনি পল্লীবিদ্যুতের (দাশুড়িয়া জোনাল অফিসের) কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অন্ধ মো. খলিলের স্ত্রী মোছা. জাহিরন বিবি বলেন, কারেন্টের ব্যাপারে আমরা ডিজিএম এর কাছে গেলি উনি কইচিলেন আপনেরা বাড়ি যান আগামী সোমবার আপনাদের ঘরে কারেন্ট জ্বলবি। কিন্তু তিন বছর গেলিও আমরা টেকাও পাইনি কারেন ও পাইনি। মো. আতাউর রহমান জানান, আমি পনোরো হাজার টাকা দিচি আইজ তিন বছর হলি, আমার ঘরে মিটার লাগাইচিলি তারপর কি জানি কারনে সেই মিটারও খ্যুলিলি চ্যলি গেছ। মো. আজিজুর রহমান জানান, আমি গরীব মানুষ, হাওলাত বাওলাত করে তারাতারি মিটারের জন্যি টেকা দিলাম কিন্তু এতদিন পার হলি পারেও আমরা বিদ্যুত পাইনি। মো. ফরিদ জানান, সাতদিনের মধ্যে লাইন দেয়ার কথা কয়ে আমাদের কাছথেকে টেকা লিয়ে পুল পুতল, তারপর মেলা দিন যাবার পর আমরা কারেন না পায়ে অফিসে যোগাযোগ করলি আমাদের কাচে আরো টেকা চাই। আমরা দিতি না পারায় আজো কারেন পায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দাশুড়িয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, অভিযোগ কারীদের বিষয় এবং এই গুচ্ছ গ্রামের কথা আমার জানা নাই। তারা অফিসে কোন টাকা জমা দেননি। তারা যদি লাইনের জন্য আবেদন করেন এবং টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন তাহলে আমরা সাতদিনের মধ্যে সংযোগের ব্যবস্থা করব।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com