বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মোঃ জহুরুল ইসলাম কুষ্টিয়া-
কুষ্টিয়া জেলার ফার্মেসিগুলো থেকে হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেছে নাপা প্যারাসিটামল নামের সব ধরনের ট্যাবলেট।গত এক সপ্তাহর বেশি হলো বেক্সিমকো কোম্পানির নাপা, নাপা এক্সট্রা, এক্সটেন্ড ও সিরাপ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না বলে রোগীরা জানিয়েছে। এছাড়া কুষ্টিয়ায় করোনার ভয়াবহ প্রকোপে সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশির ওষুধের চাহিদাও বেড়েছে ব্যাপকহারে। আবার কিছু কিছু ফার্মেসিতে মূল্য বেশি দিলে এসব ট্যাবলেট পাওয়া যায় বলে অভিযোগ করেছে ক্রেতারা। কুষ্টিয়া শহরের হাসপাতাল রোড, কলেজরোড , বড় বাজার , চৌড়হাস মোড় , পাঁচ রাস্তার মোড় , ছয় রাস্তার মোড়, বড় বাজার পাইকারি দোকান গুলোতে, উপশহর সহ বিভিন্ন উপজেলায় ফার্মেসি গুলোতে খুঁজেও এসব ট্যাবলেট পাওয়া যায়নি। কুষ্টিয়া করোনা শনাক্তের হার কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় ও লকডাউনের প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো জ্বর-সর্দি ও কাশির ওষুধ কিনে মজুদ করছে সাধারণ মানুষ। এ কারণে কুষ্টিয়ায় নাপা প্যারসিটামল ট্যাবলেট সংকট দেখা দিয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। ওষুধের ফার্মেসিগুলোতে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নাপা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ নেই। নাপার প্রতি এতো চাহিদা কেনো জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, অনলাইনে করোনার জরুরি ওষুধের মধ্যে নাপার নাম রয়েছে। বর্তমানে মানুষের জ্বর ঠান্ডা ও কাশি ব্যাপক হারে বেড়েছে। এ কারণে মানুষ ট্যাবলেটগুলো কিনে মজুদ করেছেন।চাহিদা বাড়ালেও কোম্পানি সাপ্লাই দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা। ফার্মেসি মালিকরা আরও বলেন, নাপা ও এন্টিবায়েটিক জাতীয় ওষুধ জিম্যাক্সের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। অথচ সাধারণ জ্বরে এন্টিবায়েটিক ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এ বিষয়ে বেক্সিমো কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, শুধু কুষ্টিয়া নয়, দশদিন যাবত দেশের সব জেলায় নাপার সরবরাহ কম। কোম্পানির কাছে নাপার কাঁচামালের সরবরাহ কম থাকার কারণে ও ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এমন সঙ্কট দেখা দিয়েছে।