রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
তুহিন হোসেন, ঈশ্বরদী পাবনা :
আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত হবে আলোচিত-সমালোচিত জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহের কাজ। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের এ সিদ্ধান্ত নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কর্মকর্তারা জানান, আগেও জনশুমারির তথ্য সংগ্রহের তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয়েছে। দেশব্যাপী একযোগে ৭ দিন জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ ২০২২ সুসম্পন্ন হলে এর রিপোর্ট স্বল্প সময়ে প্রকাশ করা সম্ভব হবে। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ বাস্তবায়ন করছে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নির্ভুল ও বিশ্বমানের পরিসংখ্যান প্রণয়নে প্রথম বারের মতো ডিজিটাল ‘শুমারি’ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জনশুমারিতে জিআইএস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম) ভিত্তিক ডিজিটাল ম্যাপ ব্যবহার করে ডিজিটাল ডিভাইস ‘ট্যাবলেট’ এর মাধ্যমে একযোগে দেশের সব খানা ও গৃহের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
জনশুমারি প্রকল্পের জোনাল অফিসার মো. তানভীর হাসান বলেন, আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন সারা দেশে জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে। তবে এর আগে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করার জন্য সুপারভাইজার ও গণনাকারীদের প্রশিক্ষন দেয়ার র্কাযক্রম চলছে। আশা করছি সবার সহযোগিতায় একটা নির্ভুল জনশুমারি উপহার দিতে পারব।
সুপার ভাইজার ফিরোজ হোসেন বলেন, আমাদের জোনাল অফিসার তানভীর হাসান খুবই ভালো প্রশিক্ষন দিয়েছে। গণনাকারীরা ইনশাল্লাহ সঠিক ও নির্ভূল তথ্য সরকারকে প্রদান সক্ষম হবে ।
গণনাকারী লিটন হোসেন বলেন, এবারই আমরা প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি কার্যক্রম করবো। একটি ওয়েবভিত্তিক ইনটিগ্রেটেড সেনসাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) প্রস্তুতসহ জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমে (জিআইএস) গণনা এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের কন্ট্রোল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ বছর পরপর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ এবং পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়। করোনা সংকটে জনশুমারির কাজ বার বার পিছিয়েছে।