শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
ডেক্স নিউজ :
‘দুর্নীতি আড়াল করতেই’ সরকার এমন ভূমিকা নিয়েছে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে দীর্ঘ সময় আটক রাখা এবং পরে গ্রেপ্তার দেখানোর নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।সরকারি ‘নথি চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে সাংবাদিক গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় প্রমাণ হয় যে, দেশে এখন আর স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং সঠিক তথ্য পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই ঘটনা তুচ্ছ বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। কর্তৃত্ববাদী শাসনে সাংবাদিক দল, ভিন্ন মত (দমন) এবং সত্য প্রকাশ ও সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির প্রচারে সরকারের প্রতিবন্ধকতার একটি উদাহরণ মাত্র।” “সাহসী ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা যাতে আর সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার সংবাদ প্রকাশ করতে না পারে- এই ঘটনার মাধ্যমে তাদের ভয় দেখানো হলো।”
একজন সাংবাদিকের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে বলেন, “তাকে একা পেয়ে মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়ভাবে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা আটক রেখে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। একজন নারী সাংবাদিকের ওপর তাদের এহেন আচরণ লজ্জাজনক ও ক্ষমার অযোগ্য। এর দায় সরকার এড়াতে পারে না।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের সচিব এ ঘটনা জানার পরও ঠেকানোর পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো সাংবাদিক রোজিনাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ায় তাদের পদত্যাগ দাবি করেন ফখরুল।
রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারসহ তাকে ‘নির্যাতন’ করার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয় বিএনপির বিবৃতিতে।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গতকাল সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সেখানে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ জানায়, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডিবিধির কয়েকটি ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ।