রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা:
পাবনায় শ্রী কৃষ্ণের জন্মবার্ষিকী ও জন্মাষ্টমি উপলক্ষে বিশাল শোভাযাত্রা আনান্দর্যালী করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পাবনা জেলা শাখা।
আজ বেলা ১১ টায় পাবনা শহরের শ্রী শ্রী জয়কালী বাড়ি মন্দির থেকে বিশাল শোভাযাত্রাটি বেড় হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় উক্ত শোভাযাত্রায় উপস্থিত থেকে শোভযাত্রাটির নেতৃত্ব দেন পাবনা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রভাষ কুমার ভদ্র ও সাধারণ সম্পাদক বাদল কুমার ঘোষসহ আরো অনেকে। উক্ত শোভযাত্রায় পাবনার জয়কালি বাড়ি মন্দির , গোবিন্দ্র বাড়ি মন্দির , মা মন্দির , রাধানগর বামা মন্দির , রাধানগর বারোয়ারি মন্দির , শিব বাড়ি মন্দির সহ পাবনা জেলার প্রায় ২০ টি মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
ঈশ্বরদী সংবাদদাতা:
পাবনার ঈশ্বরদীতে সনাতন ধর্মের মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি শুভ জন্মাষ্টমী ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্জের সাথে পালিত হয়েছে। শুক্রবার ১৯আগষ্ট সকাল ১০. ৩০ ঘটিকায় শহরের মাতৃমন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করছেন। দ্বাপর যুগের শেষ দিকে মহাপুণ্য তিথিতে মথুরা নগরীতে অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে বন্দী দেবকী ও বাসুদেবের বেদনাহত ক্রোড়ে জন্ম নিয়েছিলেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। হিন্দু পুরান মতে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টম তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন।
সনাতন ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাদের আরো বিশ্বাস, দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে ভগবান মানুষের মাঝে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার উদ্যোগে এই র্যালীর আয়োজন করা হয়। সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও র্যালীর উদ্বোধন করেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র মোঃ ইছাহক আলী মালিথা, ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুনিল চক্রবর্তি, সম্পাদক গণেশ সরকার, সহ-সভাপতি উমা আগারওয়াল, হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক ও আমাদের ঈশ্বরদী পত্রিকার সম্পাদক দেবদুলাল রায়, সাংবাদিক গোপাল অধিকারী, পূজা উদযাপন পরিষদ পৌর কমিটির সভাপতি প্রশান্ত কুন্ডু মিলন কর্মকার ও তাপস সাহা র্যালীর নেতৃত্ব দেন। এসময় পূজা উদযাপন পরিষদের রঞ্জিত কর্মকার , রতন সাহা, লসমন রায়, বাবু সাহা , ডলি সাহা, খোকন সাহা, হিন্দু মহাজোটের পৌর শাখার সভাপতি উত্তম সাহা, সম্পাদক সুমন সাহা, রঞ্জৃ ভৌমিক, দীপঙ্কর কুমার, সুবাস সরকার, মিতুল সরকার, সোনা কর্মকার ,এ্যাডভোকেট দেবদাস রায়, রমেন্দ্র নাথ কর্মকার বেল্টু, পলান কর্মকার, মাধব কুন্ডু, প্রবীর সরকার, প্রদীপ কর্মকার, তুফান দাস, ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সুমন দাস, যুবমহাজোটের প্রচার সম্পাদক সৌরভ কুমার দেবনাথ, সন্তোষ দাসসহ বিভিন্ন মন্দিরের বিপুল সংখ্যক নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। র্যালীর শেষে ঠাকুরবাড়ি মন্দিরে ভক্তদের জন্য প্রসাদের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় বিভিন্ন মন্দির ও এলাকা হতে নারী ও পুরুষ ভক্তরা র্যালীতে অংশগ্রহন করে। সকাল সাড়ে এগারটায় শহরের কর্মকারপাড়া মাতৃমন্দির হতে র্যালী বের হয়ে ঈশ্বরদী শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঠাকুরবাড়ি সত্য নারায়ন মন্দিরে এসে শেষ হয়। র্যালীতে ভক্তরা শ্লোগাণ, বর্ণাঢ্য সাজ ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কীর্ত্তন পরিবেশন করেন।