শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
আল এহসান হক মাসুক, পাবনা:
পাবনার সুজানগরে টেটা বিদ্ধ হয়ে (অবঃ) পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ৯দিন পর গুরত্বর আহত ছোট ভাই মতিউর আলম(৫৬) মারা গেলেন। ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার বিকালে (৩০ আগষ্ট) তার মৃত্যু হয়।
গত ২২ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে সুজানগর তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে সন্ত্রাসীদের হামলায় (অবঃ) পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গির আলম ও তার ছোট ভাই মতিউর আলম সহ ১০জন আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক (অবঃ) পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গির আলমকে মৃত ঘোষনা করে। সেই হামলায় ছোট ভাই খন্দকার মতিউর আলমও গুরত্বর আহত হন। মতিউরের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করেন।
গত মঙ্গলবার বিকেলে মতিউর মারা গেলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহ পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়। নিহত খন্দকার মতিউর আলম ভবানীপুর গ্রামের মৃত হাসান খন্দকারের ছেলে।
নিহতের ভাতিজা জুবায়ের খন্দকারের দাবি, হামলাকারীরা চরমপন্থি দলের সদস্য ও এলাকার চিহিৃত চাঁদাবাজ। তারা বাবা নিহত জাহাঙ্গির আলম অবসর গ্রহণের পর এলাকার জুয়া খেলা মাদক ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরোধিতা করে আসছিলেন। এসব নিয়েই এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী আশরাফ প্রাং, জসিম মাস্টার, রাজা, সুমন, সোবহানসহ কয়েকজনের সাথে বিরোধ চলছিল। অবঃ পুলিশ সদস্য নিহত জাহাঙ্গির পেনশনের টাকা দিয়ে নতুন বাড়ি নির্মান করতে গেলে চরমপন্থি আশরাফ গং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বিকার করায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।পাবনা সুজানগর পুলিশের সার্কেল এএসপি মোঃ রবিউল ইসলাম, মতিউর আলমের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, গত ২২ আগষ্ট হামলার ঘটনায় ২জন মারা গেছে। এ মামলায় মুল আসামীসহ ৫জনকে আটক করতে পেরেছি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং পরবর্তীতে যে কোন সহিংসতা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।