সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১২ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
ইসমাইল হোসেন, সিরাজগঞ্জ:
পাষণ্ড স্বামী ও শ্বশুরের নির্যাতনের শিকার গৃহবধু মুর্শিদা। কোরবানি ঈদের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার, আনুমানিক বিকেল৪ টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলার সালঙ্গা থানার নাইমোরি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। নির্যাতিতা মোসা: মূর্শিদ খাতুন সলঙ্গা থানার, কই মাজুরিয়া গ্রামের ,মৃত মোঃ মোশাররফ হোসেনের মেয়ে। প্রায় ৪বছর আগে মুর্শিদার বিয়ে হয় পাশের ইউনিয়ন সলঙ্গা এর নাইমুড়ী গ্রামে, মোহাম্মদ ইনসাব আলী এর পুত্র মোহাম্মদ মোবারক হোসেনের সাথে। মুর্শিদার গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। ,সন্তানের বয়স তিন বছর । ওই গ্রামে গিয়ে জানা যায় যে, মুর্শিদার বিয়ের পর থেকেই মুর্শিদার উপরে, বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেনশশুর মোঃ এনছাব আলী ও পাষণ্ড স্বামী মোবারক হোসেন ।
এনসাব আলির প্রতিবেশীরা আরো জানান, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অকারেনই মুর্শিদাকে মারধর করতো এবং মুর্শিদার শশুর এনছাবআলি মুর্শিদাকে গালিগালাজ করে আসছে। মুর্শিদার স্বামী মোবারক হোসেন ও তার বাপের সাথে তাল মিলিয়ে স্ত্রীকে মাঝে মধ্যেই মারধর করতো এবং বলতো তোকে মারতে মারতে মেরে ফেলবো, তোকে মারলে আমার কিছুই হবে না, কারন তোর বাবা বেঁচে নেই। তোর একজন ভাই আছে সে হলো প্রতিবন্ধী । ওই প্রতিবন্ধী ভাই আমার কিছু করতে পারবে না ।
ঘটনার দিন মুর্শিদার শশুর মুর্শিদা কে বলে গরুর ঘোড়ার খর ফুরিয়ে গেছে তাড়াতাড়ি গরুর গোড়ায় খর দে, মুর্শিদার গরুর গোয়ালে খাবার দিতে দেরি হওয়ার কারণে মুর্শিদার শশুর একটি লোহার রড দিয়ে মুর্শিদার মাথায় আঘাত করে । ফলে মুর্শিদের মাথা ফেটে যায় । মুর্শিদা কে টেনে হেঁচড়ে ঘর থেকে বের করে মারপিটের কারনে মুর্শিদার বাম হাত ভেঙে যায়। আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বাবা ছেলে দুজনে পালিয়ে যায় পরবর্তীতে প্রতিবেশীদের সহায়তায় মুর্শিদা কে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় lসিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান প্রচন্ড আঘাতের কারণে মাথা অনেকটা ফেটে গেছে ৭টা সেলাই দিতে হয়েছে এবং হাতটা ভেঙে গেছে হাতে ব্যান্ডেজ করে হাতটা ব্যান্ডেজ করতে হবে। মুর্শিদার সাথে ও কথা বলে পরবর্তীতে জানা যায় যে, তার শশুর এবং তার স্বামী মিলে তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। মুর্শিদা এ ব্যাপারে আইনের সহায়তা চান, তার এই নির্যাতনের সঠিক বিচার যেন পায়।