শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শহিদুল ইসলাম সুইট, সিংড়া:
তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের সাথে সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে।দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। অথচ ১৩ বছর আগে বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত, আধুনিক, প্রযুক্তি নির্ভর মেধাভিত্তিক অর্থনীতির দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় মাদ্রাসা মোড়ে অবস্থিত সিংড়া পৌর ক্যানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে জননেত্রী শেখ হাসিনা মেধা, সততা আর সাহসিকতা দিয়ে মাত্র ১৩ বছরে তিনি স্বল্পোন্নত বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। তিনি উন্নয়নের পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশের ভাগ্যহৃত মানুষের জন্যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করছেন। এসব ভাতার কার্ড করতে কাউকে অর্থ দিতে হয়।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, সিংড়ায় কোনো ব্যবসায়ীকে চাঁদা দিতে হয়না। বাড়ি নির্মাণ করতে চাঁদা দিতে হয়না। চাকুরি নিতে কোনো ঘুষ দিতে হয়না। চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শান্তিপূর্ণ, আধুনিক ও মানবিক সিংড়া গড়ে তুলতে চাই। আমার সিংড়া উপজেলা হবে দেশের মডেল উপজেলা। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে তা সিংড়া উপজেলা দেখলেই বুঝা যাবে। ১৩ বছর আগে সিংড়ার ৭০ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিলো না, আজ জননেত্রী শেখ হাসিনা সিংড়াবাসীকে আধুনিক জীবন উপহার দিয়েছে। গত ২১ তারিখে সারাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত ঘোষণা করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ৩ বছর আগে সিংড়াকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত করতে পেরেছি।
পৌর মেয়র আলহাজ্ব জান্নাতুল ফেরদৌসের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা হক রোজী, সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল-আমিন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ইটালি ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম, সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন, জেলা পরিষদের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. সাইদুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের সভাপতি সোহেল তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হাসান ইমাম, সাধারণ সম্পাদক মহন আলী, ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব ইসলাম জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক হারুন বাসার প্রমুখ। ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় এই ক্যানেলের সৌন্দর্যবর্ধন কাজ করা হয়। প্রতিমন্ত্রী এই ক্যানেলের নাম দেন “সুবর্ণ সরোবর”