রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন

News Headline :
মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্যামনগরে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে সড়কে ভ্যান চালকের মৃত্যু রাজশাহীর মোহনপুরে মদ পানে ৩ জনের মৃত্যু, গ্রেফতার ২ রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাতটি থানার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা যানজট নিরসন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আরএমপি’র মতবিনিময় সভা শ্যামনগরে এবার কৃষকরা আমন ধানের আশানুরুপ ফলন পেয়েছে পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ১জন আহত শাজাহানপুরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মান্দায় বিল উন্মুক্তের দাবিতে জেলেদের সংবাদ সম্মেলন সভাপতির স্বৈরাচারী আচরন স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে পাবনা শহর সমাজ সেবা কার্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির

রাজিবপুরে আকষ্মিক বন্যার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে

Reading Time: < 1 minute

মোঃ শরিফুল ইসলাম, রাজিবপুর, কুড়িগ্রাম :
কুড়িগ্রামে চর রাজিবপুর উপজেলায় উজানের পাহাড়ি ঢল কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষনে ব্রম্মপুত্র, সোনাভরি, জিঞ্জিরাম, জালচিড়া ও হলহলি নদীর পানির ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামের রাস্তা ঘাট ও ফসলের জমি, পাট তিল কাউন চিনাসহ সবজি জাতীয় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা। দুর্ভোগে রয়েছে হাজার মানুষ। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীর তীরবর্তী গ্রাম ও নিমাঞ্চল ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙনও তীব্র আকার ধারণ করেছে। বানভাসীরা গৃহপালিত পশুসহ আশ্রয় নিয়েছে রাস্তায় কিংবা উঁচু কোনা স্থানে। শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে সোনাভরি নদের সানাউল্লাহ ঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার (৩০) সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
কোদালকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ছক্কু জানান, তার এলাকার চর সাজাই, পাইকেন্টারী, উত্তর কোদালকাটি, আনন্দ বাজার, পাখিউরা, খাজারঘাট,বিলপাড়া, সহ আরও কয়েকটি গ্রাম এবং পাট,চিনা, জমি বন্যায় ডুবে গেছে। আব্দুর রাজ্জাক নামের এক কৃষকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ৪ বিঘা জমি পাট লাগাইছি বৃদ্ধি ও বানের পানিত ৩ দিন থিকা ডুইবা আছে। এহন পাট বড় হওয়ার আগেই কাটতে হইতাছে। একই ধরনের অভিমত ব্যাক্ত করেন এরশাদুল, আলিম সহ আরও কয়েকজন কৃষক। তাদের সকলের ফসলের জমি এখন পানির নিচে। রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় ১৬৫০ হেক্টর রোপা আমন ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়াও ২৫ হেক্টর বীজতলা এবং ২০ হেক্টর জমির সবজি ফসল বন্যার পানিতে ডুবেছে। রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুর ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানের পানি নেমে আসায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত চক্রবর্ত্তী বলেন, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চলসহ চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ আমাদের রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com