মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
আহসান হাবীব, লক্ষিপুর
সুপারী চুরির ঘটনার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করাকে কেন্দ্র করে মো. দুলাল (৫০) নামের এক অটোরিকসা চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হত্যাকারী মেহেদী হাসান (১৮) দিনভর নিহত দুলালের ছোট ছেলে মুরাদকে হত্যার হুমকি দেয়। রাতে দুলালকে হত্যা করে ঘাতক মেহেদী। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দুলাল মোহাম্মদনগর গ্রামের রঞ্জন আলী হাজী বাড়ির মৃত অজি উল্যার ছেলে। তার ৪ পুত্র ও এক মেয়ে রয়েছে।
ঘাতক মেহেদী হাসান একই বাড়ির হাফিজের পুত্র।
এ ঘটনায় নিহতের মেঝ ছেলে মো. রাশেদ হোসেন ঘটনার সাথে জড়িত চার জনের নাম উল্লেখ করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘাতক মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় নাজিম ও অাসিফ নামে দুই বখাটে যুবক ইউপি সদস্য মাসুদের সুপারী বাগান থেকে সুপারী চুরি করে। বিষয়টি নিহত দুলালের ছোট ছেলে মুরাদের বন্ধুরা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। ভিডিওটি মুরাদ তার মোবাইলে সংরক্ষণ করে রাখে। এ নিয়ে চুরির সাথে জড়িতরা মুরাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। তারা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মুরাদের বাড়ির বখাটে মেহেদী হাসানকে ভাড়া করে।
নিহত দুলালের বড় বোন জীবনের নেহার ভাই হত্যার বিচার চেয়ে জানান, গতকাল দুপুর থেকেই মেহেদী তার ভাই ও তাদের ছেলেদের হত্যা করার হুমকি দিয়েছে। কয়েকবার লম্বা একটি চুরি হাতে করে তেড়ে আসে মেহেদী। বিকেলে এ নিয়ে ঝগড়াও হয়। রাতে বাড়ির পাশের সফির দোকানের সামনে ঘাতক মেহেদীর পিতা হাফিজ ও তার মা সবুরা মিলে অটোরিকসা চালক দুলালের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
নিহতের মেঝো ছেলে রাশেদ হোসেন জানান, মেহেদীর মা সবুরা তার ছোট ভাই মুরাদকে মারধর করে। এতে তার পিতা বাধা দেওয়ায় অতর্কিতভাবে ছুরি দিয়ে পর পর কয়েকবার আঘাত করে মেহেদী। এতে ঘটনাস্থলে তার পিতা লুটিয়ে পড়লে তিনি পিতাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি জানান, এলাকাবাসী ঘাতক মেহেদীকে আটক রেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় রাতেই রাশেদ চন্দ্রগঞ্জ থানায় চারজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ঘাতক মেহেদীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামীরা হলেন সুপারী চুরির সাথে সম্পৃক্ত নাজিম উদ্দিন, মেহেদীর পিতা হাফিজ ও তার মা সবুরা।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম ফজলুল হক জানান, ঘাতক মেহেদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করা হয়। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।