শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন

News Headline :
মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্যামনগরে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে সড়কে ভ্যান চালকের মৃত্যু রাজশাহীর মোহনপুরে মদ পানে ৩ জনের মৃত্যু, গ্রেফতার ২ রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাতটি থানার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা যানজট নিরসন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আরএমপি’র মতবিনিময় সভা শ্যামনগরে এবার কৃষকরা আমন ধানের আশানুরুপ ফলন পেয়েছে পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ১জন আহত শাজাহানপুরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মান্দায় বিল উন্মুক্তের দাবিতে জেলেদের সংবাদ সম্মেলন সভাপতির স্বৈরাচারী আচরন স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে পাবনা শহর সমাজ সেবা কার্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির

সরাইলে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ৮ শতাধিক হেক্টর আউশ ধান

Reading Time: < 1 minute

শেখ মো. ইব্রাহীম, সরাইল:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উজানের ঢলে ও মেঘনা—তিতাস নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ফসলি জমিসহ তলিয়ে গেছে। এছাড়া পুকুরের মাছ ও মুরগীর খামার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন পুকুরের মালিক ও কৃষকরা। সরাইল সদর, কালিকচ্ছ, শাহবাজপুর, নোয়াগাঁও, পানিশ্বর, চুন্টা, শাহজাদাপুরসহ ৭টি ইউনিয়নের আউশের প্রায় ৮ শতাধিক হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। পানিশ্বর নদী তীরবর্তী নিচু এলাকায় ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ফসল তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
তেরকান্দা গ্রামের কৃষকরা জানান, উজানের পানিতে সরাইলের নিচু এলাকার বাড়ি—ঘরসহ সকল ফসল তলিয়ে গেছে। পানিতে পচে নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল। অনেক পুকুরের মাছ ভেসে যায়। বিভিন্ন এলাকায় মানুষ রয়েছে পানিবন্দি। গলানিয়া গ্রামের কৃষক শফিক মিয়া জানান, প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে আউশ ধান আবাদ করেছিলাম। বন্যার পানিতে সব তলিয়ে গেছে। সূর্যকান্দি গ্রামের কৃষক নাজমুল মিয়া জানান, বন্যার পানি প্রবেশ করে আমার ৩০ বিঘা জমির ফসল তলিয়ে যায়। অনেক ধান এখনো পানির নিচে রয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে।
সরাইল মৎস্য অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে প্রায় ৩৭টি পুকুর তলিয়ে গেছে ৩ কোটি টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে।
সরাইল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছ.া মায়মুনা জাহান বলেন, উপজেলা ৯টি ইউনিয়নে আমরা কাজ করতেছি। ক্ষতিগ্রস্থদের নাম লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে।
সরাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. একরাম হোসেন বলেন, মেঘনা ও তিতাস নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে কয়েক দিন ধরে। উপজেলার ৮ শতাধিক হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে, কৃষকের ক্ষতি পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি টাকা। তিনি বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের নাম লিপিবদ্ধ করার কাজ চলছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com