শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
সাব্বির মির্জা, তাড়াশ সিরাজগঞ্জ :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। ঈদের দিন থেকে কোরবানির পশু জবাইয়ের পরপরই মৌসুমি ব্যবসায়ীরা একটি বড় গরুর চামড়া তিনশ থেকে পাঁচশ টাকা ও ছাগলের চামড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে কিনে থাকেন। কিন্তু গ্রাম থেকে প্রচুর পরিমাণে চামড়া আমদানি হওয়ায় ব্যাপক দরপতন ঘটে।
উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সন্ধ্যায় ছাগলের চামড়ার দাম শুধু ১০ টাকা এবং গরুর চামড়ার দাম ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায় এসে ঠেকে। চামড়া কেনার পর পাইকাররা আরও কম দাম বলায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা পড়েছেন ব্যাপক লোকসানের মুখে।
বুধবার উপজেলার তাড়াশ পৌর বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, চাহিদা না থাকায় এবং চামড়ায় কাটা ও ফাটার অজুহাতে দাম দিচ্ছেন না পাইকাররা।
বিক্রেতাদের অভিযোগ, এক লাখ টাকা মূল্যের গরুর চামড়ার দাম তিনশ টাকাও উঠছে না। মৌসুমি ব্যবসায়ী জহির উদ্দিন বলেন, পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে চামড়া কিনেছি। কিন্তু পাইকাররা এসে সেই চামড়ার দাম অর্ধেকও বলছে না।
চামড়া ব্যবসায়ী খোকন কুমার বলেন, চামড়া কেনার পর লেবার, লবণ ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে আরও ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ব্যয় করতে হয়। কিন্তু ন্যূনতম দাম বেঁধে না দেওয়ায় চামড়া কিনে বিপদে পেড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
চামড়া ব্যবসায়ী আলীম জানান, কসাইদের চামড়া ভালো থাকে, তাই সেগুলোর দামও বেশি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের করা চামড়ায় অসংখ্য কাটা থাকে। ফলে ওই চামড়া কোনো কাজে আসে না। আর আমরা তা কিনতেও চাই না। কিন্তু নতুন ব্যবসায়ীরা না জেনেই আন্দাজে যেকোনো চামড়া কেনায় এ সমস্যা তৈরি হয়। চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় স্থানীয় মাদরাসা ও এতিমখানাগুলো যে আয় করে থাকে, তাদেরও আয় কমে যাবে বলে জানান তিনি।