শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনা র‌্যাবের অভিযানে পর্নগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার পিলখানা হত্যাকান্ড দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করে দিয়েছে-রাকিন আহমেদ পাঁচবিবিতে বিএনপির দুই গ্রুপের প্রতিবাদ সমাবেশ ঘিরে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি শেরপুর জেলা আ’ লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন কুমার পাল আটক পাবনায় মানবকল্যাণ ট্রাস্টের ৪ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজশাহী মহানগরীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ মাদক কারবারী গ্রেফতার পুনাক ও রাজশাহীর ক্ষদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন পাবনায় সাদ্দামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় ছুরিকাঘাতে ৩জন আহত একজনের অবস্থা আশংকাজনক সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালককে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই আটক দুই কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

অন্যের ইনডেক্স ব্যবহার করে ১৭ বছর ধরে বেতন তুলছেন শিক্ষক

Reading Time: 2 minutes

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজে চাকরি করতেন শরিফুল ইসলাম। ২০০৪ সালে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে নির্বাচিত হয়ে তিনি কলেজের চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। এসময় তার ইনডেক্স নম্বর ছিল ৮৩২২৩৬।
শরিফুল ইসলাম চাকরি ছেড়ে চলে গেলে তার জায়গায় ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে নিয়োগ হয় আবুল হোসেন রাব্বির। ২০০৫ সালে তিনি এমপিওভুক্ত হন। তবে তারও ইনডেক্স নম্বর হয় ৮৩২২৩৬। একই ইনডেক্স নম্বর দিয়ে ১৭ বছর ধরে বেতন তুলছেন এ শিক্ষক। অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগসাজশেই তিনি এ কাজ করে যাচ্ছেন। নিয়মানুযায়ী কলেজে বা স্কুলে কোনো শিক্ষক নতুন যোগদান করলে তার আলাদা ইনডেক্স নম্বর থাকবে। এ ইনডেক্সই হলো ওই শিক্ষকের পরিচয়। তবে কোনোভাবেই একজন শিক্ষকের ইনডেক্স আরেকজন ব্যবহার করতে পারবেন না। অথচ ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক রাব্বি অন্যের ইনডেক্স ব্যবহার করে ১৭ বছর ধরে বেতন-ভাতা তুলে আসছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক শরিফুল ইসলাম (বর্তমানে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে কর্মরত) বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের কোনো ইনডেক্স নেই। বিসিএস ক্যাডারদের কোনো ইনডেক্স হয় না। আমি ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৪ সালেই চাকরি ছেড়ে চলে এসেছি। এখন আমার নামে বেতন এলে আমারতো সই লাগবে। আমার নামে বেতন আসছে না। তবে আমার ইনডেক্স ব্যবহার হচ্ছে কি না সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন।’
তবে এ বিষয়ে জানতে রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এ কারণে তিনি আত্মগোপনে আছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান শাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা, এটি জালিয়াতি হতে পারে। তবে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ এলে বিষয়টি দেখবো। কিন্তু আমার এখানে এমপিও নিয়ে বা ইনডেক্স নিয়ে কোনো কাজ হয় না। এটি ঢাকা থেকে হয়। তারাই বলতে পারবেন। তারা যদি আমাদের কোনো নির্দেশনা দেন সেটি আমার করতে পারবো। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক তপন কুমার দাস বলেন, একজন শিক্ষকের ইনডেক্স অন্যজন ব্যবহার করতে পারবেন না। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখবো। জানতে চাইলে রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ইংরেজির শিক্ষক আবুল হোসেন রাব্বি বলেন, ‘আমি ২০০৪ সালে নিয়োগ পেয়েছি। ২০০৫ সাল থেকে এমপিও হয়েছে। তবে আমার ইনডেক্স আগে অন্য কারও ছিল কি না সেটি আমার জানা নেই। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম।’

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com