বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন

News Headline :
কুষ্টিয়ার নিখোজ ২ এএসআই এর লাশ পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার এবার প্রকাশ্যে এলেন ইবি শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি গোদাগাড়ীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ডালিম আমরণ অনশনে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা পুলিশ কর্মকর্তা বিজয়-উৎপলকে ধরলেই মিলবে কাজেম হত্যার উত্তর: দাবি চিকিৎসকদের সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে  বিক্ষোভ ও মানববন্ধন  দেশদ্রোহী খুনি হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে–আহসান হাবিব লিংকন রংপুরে জমি লিখে না দেয়া মাকে বেধড়ক পেঠালো ছেলে ও ছেলের বউরা শ্রীবরদীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এতিম ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ মান্দায় মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৩শো গাছ উপড়ে ও ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ

অবরোধের অজুহাতে রাজশাহীর বাজারে আগুন

Reading Time: 2 minutes

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
অবরোধের অজুহাতে রাজশাহীতে বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ও শনিবার (৪ নভেম্বর) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটা জানা গেছে।
নগরীর সাহেববাজার, নিউমার্কেট, শালবাগান, নওদাপাড়া ও কাঁটাখালী বাজারে দেখা যায়, প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে ছিল ১১০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা। এছাড়া এই সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা দেরে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে, আদা ২৪০ টাকা ও রসুন ২০০ টাকা।
সব ধরনের সবজির দামও বেশি। চলতি সপ্তাহে করলা ৬০ টাকা, কচু ৮০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭৫ টাকা, শসা ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, সজনে ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বেগুন ও ফুলকপি ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সাহেববাজারের বিক্রেতা আকরাম হোসেন বলেন, সরবরাহ কম হওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়েছে। বেশি দামে কিনতে হয় বলে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম বলেন, অবরোধের কারণে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
নগরীর মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজারে আসা এনামুল হক বলেন, প্রতিদিনই তো দাম বাড়ছে। বিশেষ করে সরকার নির্ধারিত দামে তো কিছুই মিলছে না। পেঁয়াজ, আলু ও ডিম সবকিছুই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজার মনিটরিং না থাকায় বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
এ সপ্তাহে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি। সোনালী মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাতিহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা। এ সপ্তাহে মুরগির লাল ডিম ৫২ টাকা হালি, সাদা ডিম ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা।
প্রতিকেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা, রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, কাতল ৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০ টাকা, কই ৫৫০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ৩০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৯০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১২০০ টাকা, বোয়াল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, শিং ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com